সর্বশেষ

» ভাসানচরের উদ্দেশে জাহাজে ১৮০৫ রোহিঙ্গার যাত্রা

প্রকাশিত: ২৯. ডিসেম্বর. ২০২০ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্ক:: পাঁচটি জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় দলটি মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের বোট ক্লাব, আরআরবি ও কোস্টগার্ডের জেটি থেকে জাহাজগুলো ছেড়ে যায়। এবার স্বেচ্ছায় ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ৪২৮ পরিবারের ১৮০৫ রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা সোমবার ৩৯টি বাসে করে চট্টগ্রামে পৌঁছায়।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিশেষে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সোমবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ১৩ বাসে ৫৯৫ জন, ২টা ১০ মিনিটে ১১ বাসে ৫৩৯ জন, ৫টা ১০ মিনিটে ১৫ বাসে ৬৭১ জনসহ ৪২৮ পরিবারের মোট এক হাজার ৮০৫ রোহিঙ্গাকে নিয়ে গাড়িগুলো চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়।

এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের মালামাল নিয়ে ১১টি কার্গো এবং ট্রাক গাড়িবহরে যুক্ত ছিল।

এর আগে গত রোববার বিকালে ও সোমবার সকালে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে উখিয়া কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে এসে রাখা হয়। তা ছাড়া ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা ট্রানজিট পয়েন্টে আসতে শুরু করেন।

ভাসানচরের কাজ করতে যাওয়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার (স্কাস) চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা জানান, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ধাপে এক হাজার ৮০৫ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আমরা তাদের সঙ্গে যাচ্ছি। এখানে তাদের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের প্রতি যত্ন নেয়া হয়েছে। তাদের যেন শীতে কষ্ট না হয় তার প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়েছে। সরকারের সহযোগী সংস্থা হিসেবে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সব আমরা কাজ করছি।

সূত্রে জানা যায়, উখিয়া ও টেকনাফের তালিকাভুক্ত ক্যাম্প ছাড়া বাকি সব ক্যাম্প থেকেই রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। বিশেষ করে উখিয়ার কুতুপালং-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৮ ডব্লিউসহ থাইংখালী ১৩ নাম্বার ক্যাম্প থেকে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার সোমবার ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ভাসানচর পৌঁছবেন তারা।

এদিকে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছে। এর আগে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে সমুদ্র উপকূলে আটক আরও তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী মিয়ানমারে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে এ দেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এর আগে থেকে রয়েছে আরও চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। বর্তমানে সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ ক্যাম্পে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031