সর্বশেষ

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নৃশংস তান্ডবে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল: ফখরুল ইসলাম

প্রকাশিত: ২৮. অক্টোবর. ২০২৫ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্ক: জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার নির্দেশে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করে লাশের উপর নৃত্য করা হয়েছিল। সেদিন থেকে দেশে ফ্যাসিবাদের মহড়া শুরু হয়, পথ হারায় বাংলাদেশ। এরপর দীর্ঘ সংগ্রামের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশ আবার পথের দিশা ফিরে পায়। আওয়ামী হায়েনার দল সেদিন শুধু পল্টন নয়, সিলেটের রাজনৈতিক ইতিহাসকে কলংকিত করেছিল। তারা তৎকালিন সিলেট মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি নুরুল ইসলাম বাবুলকে শহীদ করতে নৃশংস হামলা চালিয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি আমাদের মাঝে আজো বেঁচে আছেন আলহামদুল্লিাহ।

তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের নৃশংস হত্যাকান্ডের পর তারা ১/১১ এর ফখর-মঈন সরকারের সাথে আতাত করে ক্ষমতায় গিয়ে পিলখানা হত্যাকান্ড দিয়ে গণহত্যা শুরু করে। তারা ধারাবাহিকভাবে আামাদের শীর্ষ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে হত্যা করে। তারা আল্লামা সাঈদী (র.) রায় পরবর্তী সময়ে দেশে গণহত্যা চালায়। এরপর তারা শাপলা চত্তরের গণহত্যা এবং সর্বশেষ ২৪ এর জুলাই-আগস্টের গণহত্যা চালায়। হাজারো ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে চব্বিশের ৫ আগস্ট দীর্ঘ ১৭ বছর পর ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত হয়। ফ্যাসিবাদের দোসরদের কোনভাবে ছাড় দেয়া যাবেনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলাকারীদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে বিগত সকল হত্যকান্ডের বিচার নিশ্চিত করতে সবাইকে স্বোচ্ছার হতে হবে।

তিনি মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে জামায়াত কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে লগি-বৈঠার তান্ডবে শহীদ ও আহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সমাবেশ শেষে নগরীতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সমাপ্ত হয়। মিছিল সমাবেশে সিলেট মহাগরীর সকল শাখার বিপুল সংখ্যক জনশক্তির পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।

মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জাহেদুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, সিলেট জেলা আমীর ও সিলেট-১ (মহানগর ও সদর) আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান।

সমাবেশে অনুভুতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- ২০০৬ সালে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লগি-বৈঠার তান্ডবে গুরুতর আহত তৎকালিন সিলেট মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি ও বর্তমান সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. নুরুল ইসলাম বাবুল।

তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, সেদিনের তান্ডব আমি ভুলে যেতে চাই। বিষয়টি কারো সাথে শেয়ার করতে পারিনা। তারা সেদিন আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহর মেহেরবানীতে বেঁেচ আছি।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, বায়তুল মাল সেক্রেটারী মুফতী আলী হায়দার, সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ইয়াসীন খান, মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু ও সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী শহীদুল ইসলাম সাজু।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, সিলেট জেলা আমীর ও সিলেট-১ (মহানগর ও সদর) আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন- ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের নৃশংসতা ভুলে থাকা যায়না, ভুলার নয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সেদিন আমাদের জোট সরকার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ সেদিন কোন সহযোগিতা করেনি। এই রহস্য আজো অজানা রয়ে গেছে। এই দেশে আর কোন নৃশংসতা ও গণহত্যা জাতি দেখতে চায়না। শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে সংঘতি সকল গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে জাতিকে কলংকমুক্ত করতে হবে।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031