সর্বশেষ

» প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৬৭ লাখের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১৮. অক্টোবর. ২০২৫ | শনিবার

Manual3 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক: কাজী জালাল উদ্দিন বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়-এর প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালিকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেন এলাকাবাসী, অভিভাবক, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও সিলেটের সচেতন নাগরিকরা সংবাদ সম্মেলন করেন।

Manual5 Ad Code

সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের ড. রাগীব আলী মিলনায়তনে আজ এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের ড. রাগীব আলী মিলনায়তনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

Manual6 Ad Code

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালিক বিদ্যালয়ের ফিক্সড ডিপোজিট (FDR) ভেঙে ও বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সিলেটের বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে, এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেন।
সাবেক শিক্ষক অধীর চন্দ্র নাথের দেওয়া তথ্য ও ব্যাংক সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার দাবি জানান আয়োজকরা। তারা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক নিয়মনীতি না মেনে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অর্থ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অনিয়ম করেছেন, যা বিদ্যালয়ের ৮২ বছরের সুনাম ও শিক্ষার মানকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১২ অক্টোবর এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করলেও সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী এবং বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হায়াতুল ইসলাম আকুঞ্জির বিশেষ অনুরোধে প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষার্থে তা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে অভিভাবক প্রতিনিধি দল সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এছাড়াও ডিজি মহোদয়ের কাছে ডাকযোগে আরেকটা অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন বক্তারা সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে পৃথক পৃথক ভাবে অভিযোগ দাখিল করেছেন।

Manual7 Ad Code

উপস্থিত বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালিক অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় আন্দোলনকারীদের কাছে “অনৈতিক প্রস্তাব” দেন এবং রাজি না হওয়ায় তাদের “মামলার হুমকি” দেন।

আয়োজকরা চারটি মূল দাবি তুলে ধরেন:

১. অভিযোগের বিষয়ে নিরপেক্ষ প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠন।
২. স্বচ্ছ ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত পরিচালনা।
৩. তদন্ত চলাকালে প্রধান শিক্ষককে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান।
৪. দোষ প্রমাণিত হলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।
তারা বলেন, এই আন্দোলন কারও ব্যক্তিগত বিরুদ্ধে নয়; বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাক্ষেত্রের পবিত্রতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রয়াস।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের অভিভাবক, স্থানীয় বাসিন্দা, প্রাক্তন শিক্ষক এবং সিলেটের বিভিন্ন স্তরের সচেতন নাগরিকরা।
বক্তব্যে একাধিকবার উল্লেখ করে বলা হয়, “আমরা প্রধান শিক্ষক খালিক সাহেবের বিরুদ্ধে নয়, তাঁর আর্থিক কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে। আমরা চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোক স্বচ্ছতার প্রতীক, দুর্নীতির আশ্রয়স্থল নয়।”

Manual3 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code