সর্বশেষ

» ঢাকা সিটি দক্ষিণ দখল নিয়ে সরকারের  অসহায়ত্ব দেখে দেশবাসী হতাশ : ফখরুল ইসলাম

প্রকাশিত: ২২. জুন. ২০২৫ | রবিবার

চেম্বার ডেস্ক: জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন- ফ্যাসিস্টের পতন পরবর্তী সময়ে দেশে সংস্কার কার্যক্রম চলছে। মানুষের মাঝে নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরী হয়েছে। কিন্তু মব সৃষ্টির মাধ্যমে এক ব্যক্তি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন দখল করে রেখেছেন। এই ধরণের কর্মকাণ্ড জুলাই বিপ্লবের চেতনার পরিপন্থি এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কার্যকর ভুমিকা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির এই অচলাবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের অসহায়ত্বে দেশবাসী হতাশ হচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

তিনি বলেন, জেল, ফাঁসি, গুম ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আমাদের নিঃশেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর কুদরতে আমরা ষড়যন্ত্র কাটিয়ে উঠেছি এবং টিকে আছি। অন্যায়কারীরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এরমধ্যে ভবিষ্যতে জুলুমকারীদের জন্য রয়েছে শিক্ষা। যারা আমাদের জন্য গর্ত খুঁড়েছিল, তারাই আজ সেই গর্তে পতিত হয়েছে, দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। মানুষ এখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে শিখেছে। জুলাই বিপ্লবের রক্তের চেতনা নতুনভাবে জাতিকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। মানুষ চায় লুটেরা, চাঁদাবাজ ও চরিত্রহীন রাজনীতি থেকে মুক্তি। এদিকে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের নজর দিতে হবে।

তিনি শনিবার (২১ জুন) সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের মাসিক দায়িত্বশীল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খানের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এডভোকেট মুহাম্মদ শামস উদ্দীন, নায়েবে আমীর মোমতাজুল হাসান আবেদ, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মুহাম্মদ নুরুল আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কবির ও জেলা অফিস সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

বৈঠকে জেলা জামায়াতের সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। বৈঠকে জামায়াতের দায়িত্বশীলদের ঈমানী দৃঢ়তা, সাংগঠনিক তৎপরতা ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

Please continue to proceed