সর্বশেষ

ভালো কাজের ক্রেডিট সরকারের, ব্যর্থতা থাকলে আমার: বিদায়ী আইজিপি

প্রকাশিত: ২৯. সেপ্টেম্বর. ২০২২ | বৃহস্পতিবার


Manual6 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: পুলিশের বিদায়ী আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘যারা আমাকে নষ্ট রাজনীতির দুষ্ট চর্চায় তাদের বিপক্ষে আবিষ্কার করেছেন, তাদের নিয়ে আজ কোনো অভিযোগ নাই, অনুযোগ নাই। সবাইকে নিয়ে সামনে আগাবো। যে যেখানে আছি হাতে হাত রেখে দায়িত্ব পালন করব।’

Manual3 Ad Code

আজ বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘খুন হলেও দুটো পক্ষ হয়ে যায়। ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত। পুলিশ দুই দলকে খুশি করতে পারে না। এ কারণে একপক্ষ সব সময় ভুল বোঝে। আইনি দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে অনেকেই বিপক্ষে গেছেন। সেটা এখন আর বলতে চাই না।’

সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘জিম্মিদশা থেকে ওই এলাকার মানুষকে মুক্ত করতে পেরেছি।’

Manual2 Ad Code

সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি ছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে আইজিপি বলেন, ‘কোনো মানুষই আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এর বাইরে আরেকটা বিষয় থাকে সামাজিক প্রত্যাশা। সামাজিক প্রত্যাশার জন্যও অনেক কিছু করতে হয়েছে। দায়িত্ব পালনে যিনি অপর পাড়ে ছিলেন। লাইনের উল্টো দিকে ছিলেন। তিনি নিজেকে প্রতিপক্ষ মনে করলে সঠিক হবে না।’

বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, ‘সরকারি দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। ভালো কাজের ক্রেডিট সরকারের এবং মানুষের। যা কিছু ভালো হয়েছে। কোনো ব্যর্থতা থাকলে আমার। একান্তই সে ক্ষেত্রে হয়তো আমি রাষ্ট্রের দায়িত্ব ঠিকমতো করতে পারিনি।’

এর আগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এলিট ফোর্স র‌্যাবের মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পালন করেন। ছয় বছর র‌্যাবের ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে প্রায় সাড়ে চার বছর ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ছিলেন।

২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাবের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে ভূমিকা পালন করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান তিনি। দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রেও অবদান রাখেন বেনজীর। অবদান রেখেছেন সুন্দরবনের জলদস্যুতার অবসান ঘটাতেও। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানও তার সাফল্যের মুকুটে আরও একটি উজ্জ্বল পালক।

মেধাবী ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত বেনজীর আহমেদের জন্ম ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর। গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া বেনজীর শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

Manual2 Ad Code

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্ট্যাডিজ, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা চার্লস স্ট্রার্ট ইউনিভার্সিটি ও সিঙ্গাপুরের বিশ্বব্যাংক আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পড়াশোনা করেন।

সপ্তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ ১৯৮৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন।

এছাড়া তিনি কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার, ডিএমপিতে ডিসি নর্থ, পুলিশ একাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক, পুলিশ সদর দফতরের এআইজি, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার টাঙ্গাইলের কমান্ড্যান্ট, ডিআইজি (প্রশাসন ও অপারেশনস্) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগে চিফ অব মিশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট সার্ভিসেস হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দফতরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। কর্মদক্ষতায় তিনবার জাতিসংঘ শান্তিপদক অর্জন করেন।

Manual3 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code