ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম মারা গেছেন

প্রকাশিত: ০৩. আগস্ট. ২০২২ | বুধবার


Manual8 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম মারা গেছেন। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নিহত ছাত্রদল নেতা নুরে আলমের মরদেহ বুধবার রাতের মধ্যেই ঢাকা থেকে ভোলায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাতে ভোলা আনা হলে বৃহস্পতিবার সকালে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’

Manual4 Ad Code

জানা গেছে, নুরে আলমের বাড়ি ভোলা পৌরসভার চরনোয়াবাদ এলাকায়। তিনি এক সন্তানের জনক।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর খবরটি আমরা জানতে পেরেছি।’

ভোলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত্যুর খবর আমরা শুনেছি। তবে, যেহেতু এটা আইনি প্রক্রিয়াধীন। তাই, সব প্রক্রিয়া ঢাকাতেই হবে।’

Manual8 Ad Code

প্রসঙ্গত, গত রোববার সকালে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনের সময় ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ও শটগানের গুলি ছুড়ে। বিএনপির অভিযোগ, পুলিশের ছোড়া গুলিতে তাঁদের দলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এদের মধ্যে ওই দিনই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. আব্দুর রহিম (৪০) নিহত হন। আহত হন আরও শতাধিক নেতা-কর্মী। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছাত্রদল নেতা নুরে আলমসহ কয়েক জনকে ঢাকা ও বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Manual5 Ad Code

বিএনপি নেতারা জানান, ছাত্রদল নেতা নুরে আলমকে গত রোববার ভোলা থেকে ঢাকায় আনতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। রোববার রাতে তাকে রাজধানীর শ্যামলীতে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউ না থাকায় সঙ্গে সঙ্গে কমফোর্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে সরাসরি আইসিইউতে নিয়ে যান। বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় নুরে আলম সেখানেই মারা যান।

Manual2 Ad Code

এ ঘটনায় ভোলা পুলিশের পক্ষ থেকে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই দুই মামলায় ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ ট্রুম্যানসহ বিএনপির ৪ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code