সর্বশেষ

» ধর্ষণের প্রশ্রয়দাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: কাদের

প্রকাশিত: ০৫. অক্টোবর. ২০২০ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: ধর্ষণে প্রশ্রয়দাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা এবং দফতরপ্রধানের সঙ্গে উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সমাজবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। দেশের সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ চলাচল এবং নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিন্দনীয় অপকর্ম রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অপরাধীদের প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের আওতায় আনতে সহযোগিতা করুন। প্রশ্রয়দাতাদেরও আইনের আওতায় আনব।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধর্ষণ নিঃসন্দেহে একটি নিন্দনীয় অপরাধ এবং সামাজিক ব্যাধি। এসব চরম ঘৃণীত কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা বিকৃত রুচির অপরাধী। সরকার এ ধরনের প্রতিটি অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করছে।

মন্ত্রী বলেন, তবু কোথাও না কোথাও এ অপরাধ ঘটছে। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশে ধর্ষণের মতো ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ ধরনের সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

 

ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার কোনো প্রয়োজন নেই। অন্তত এ ধরনের একটি ইস্যু নিয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলো, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন— সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

 

ধর্ষণের সঙ্গে সরকারি দল সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের নাম আসছে— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেতুমন্ত্রী বলেন, যেই হোক; এটার দায় কেউ এড়াতে পারবে না। সরকার ক্ষমতায়, সরকার কীভাবে দায় এড়াবে? সরকার এটাকে আবার প্রশ্রয়ও দিচ্ছে না। প্রত্যেকটি ব্যাপারে সরকার দায়িত্ব নিচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়ে এসব ঘটনায় যারাই জড়িত থাক, আমাদের দলীয় পরিচয়েও কেউ যদি থাকে, অবশ্যই তাকে আইনের আওতায়, শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সেটা শুধু মুখে বলা হচ্ছে না, বাস্তবেও কার্যকর করা হচ্ছে।

 

দৃশ্যমান কোনো শাস্তি কিন্তু দেখা যাচ্ছে না— এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনটা হয়নি? রিফাত হত্যার রায় সেদিন তো হয়ে গেল। ফেনীর নুসরাত হত্যাকাণ্ড, সেটিরও তো রায় হলো। এগুলো তো হচ্ছে। সব ব্যাপারেই শাস্তি হবে। ইউএনও ওয়াহিদার ওপর যে হামলা হয়েছে, সেই ব্যাপারেও তো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দলীয় পরিচয়ের নামও শোনা গেছে, কিন্তু কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি।

 

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বুয়েটের আবরার হত্যাকাণ্ডে যারা আসামি, তাদের প্রত্যেকেই ছাত্রলীগ পরিচয়ের, তাদের কি অব্যাহতি দেয়া হয়েছে? নাকি চার্জশিট থেকে বাইরে রাখা হয়েছে?

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031