সর্বশেষ

» তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ০৮. ফেব্রুয়ারি. ২০২৩ | বুধবার

Manual1 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে।

Manual4 Ad Code

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বুধবার এ তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশে মৃতের সংখ্যা এখন ১১ হাজার ১০৪। এখনও আটকা আছেন অনেক মানুষ। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান টেলিভিশনে দেয়া ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৭৪। আহত হয়েছে ৫০ হাজার মানুষ। আর সিরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৩০ জনে।

এখনও বিভিন্ন ভবনের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন কর্মীরা। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, কয়েক হাজার শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর ধীর ও অপর্যাপ্ত উদ্ধার তৎপরতার অভিযোগ করে তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শহরের বাসিন্দারা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।

Manual1 Ad Code

বাড়ি ও স্বজন হারানো মালাতিয়ার বাসিন্দা মুরাত আলিনাক বলেন, ‘এখানে একজনও আসেনি। বরফের মধ্যে আমরা আছি। নেই ঘর কিংবা সহায়-সম্বল। আমি কী করব? কোথায় যাব?’

Manual4 Ad Code

স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এরপর অন্তত ১০০ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ।

তবে এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল সোমবার দুপুর দেড়াটার দিকে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি। এর উৎপত্তিস্থল ছিল তুর্কির কাহরামানমারাস শহর।

ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে হাজারো বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। দু দেশের হাজার হাজার মানুষ আহত হন; গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেকে।

Manual2 Ad Code

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাজে আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় রসদ ও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় প্রবেশে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। কিছু কিছু এলাকা জ্বালানি ও বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code