সবাই মিলে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৫. জানুয়ারি. ২০২৩ | রবিবার


Manual6 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে ব্যাংক মালিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু সরকার না, সবাই মিলে দেশকে উন্নয়নের পথে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। এ সময় ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

Manual8 Ad Code

আজ রোববার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে তার কার্যালয়ে যান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) প্রতিনিধি দল।

Manual1 Ad Code

এ সময় ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩৬টি ব্যাংক অনুদান হিসেবে ১১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা দেয়। বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।

দের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন।

তিনি জানান, বিভিন্ন সময় অনুদান দেওয়ার জন্য ব্যাংকারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যাংকস অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাই। যেকোনো দুযোর্গ-দুর্বিপাকে আমার বলতেও হয় না, আপনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাই চলে আসেন। সহযোগিতা করেন। আপনাদের প্রদত্ত অনুদান যথাযথভাবে মানুষের কাজে লাগে। অনেক মানুষের কাজে লাগে, আপনারা হয়তো চিন্তাও করতে পারবেন না, কত মানুষকে আমরা কতভাবে সাহায্য করি চিকিৎসা, ঘরবাড়ি সব বিষয়ে।

আশ্রয়ণের ঘর পাওয়া মানুষের জীবন বদলে যাওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণের ঘর পাওয়া মানুষের হাসি, তাদের তৃপ্তি, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ইতিহাস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর পর জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এদেশে যারা ভূমিহীন আছে, তাদের তিনি ঘর দেবেন, জমি দেবেন এবং পুনর্বাসন করবেন। এ কাজটা শুরু করেছিলেন নোয়াখালীর চরে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করে প্রথমে আমরা ব্যারাক হাউজ নির্মাণ করে দিয়েছি। পরে আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প বলে একটা প্রকল্প নিলাম। সেনাবাহিনীর হাতে দায়িত্ব দিলাম। তারা এই ঘরগুলো করে দেবে, ব্যারাক হাউজ। এভাবে আমরা প্রায় দেড় লাখ পরিবারকে পুনর্বাসন করে দিলাম। পরে ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প ২ শুরু করলাম। আমরা দুই কাঠা জমি এবং একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।

Manual8 Ad Code

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট যারা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণে কাজ করছেন, তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। তাদের অনুভূতি, তারা একটা মহৎ কাজ করছেন।

গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর ও জমি দেওয়ার মাধ্যমে বহু মানুষের জীবন বদলে যাওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এটিই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ঘরের সঙ্গে তাদের কিছু জমিও দেওয়া হচ্ছে। জীবন-জীবিকার জন্য আমরা নগদ টাকা দিচ্ছি। পাশাপাশি ট্রেনিং করিয়ে দিচ্ছি। ফলে আশ্রয়ণ প্রকল্পে তারা শুধু একটি ঘরই পাচ্ছে না, কর্মসংস্থানের একটি ব্যবস্থা হয়ে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে সাত লাখ পরিবার, আমরা যদি ৫ জন করেও ধরি। তাতেও দেখা যাচ্ছে প্রায় ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে।

সব বাধা অতিক্রম করে সরকার দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিতভাবে এগোতে পারলে যেকোনো দেশ উন্নতি করবে। আমাদের বাধা তো আছে, বাধা তো থাকবে। আমাদের তো একে হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তারপর হচ্ছে মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, আন্তর্জাতিকভাবে বারবার কিছু বাধা আসে।

Manual6 Ad Code

তিনি বলেন, করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সব কিছু মিলিয়ে অর্থনীতির ওপর একটা প্রভাব পড়েছে। অন্য দেশের মতো আমরা বিপর্যস্ত না। আমরা কাটিয়ে উঠছি, কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code