সর্বশেষ

» লাশ ফেলার অশুভ খেলায় মেতেছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ২৪. সেপ্টেম্বর. ২০২২ | শনিবার


Manual5 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমানোর অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার বিকালে গাইবান্ধা শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

Manual5 Ad Code

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। দেশের উন্নয়ন, অর্জন চাইলে শেখ হাসিনার মতো সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে সম্মানিত করেছেন।

কাদের বলেন, বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বারবার বলেন, বিদায়ের সাইরেন নাকি বাজচে। এই সাইরেন ১৪ বছর ধরে ফখরুলে কানে বাজে, জনগণের কানে বাজে না।

Manual6 Ad Code

দলের নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দলে শৃঙ্খলা রাখতে হবে। নেতৃত্ব দিতে হলে শৃঙ্খলা শিখতে হবে। আমাদের নেতা একজন শেখ হাসিনা আর সব কর্মী। বঙ্গবন্ধুর চেতনায় ধারণ করতে পারলে সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হবে, ঐক্যবদ্ধ ও আধুনিক স্মার্ট দল হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতিসংঘে শেখ হাসিনা তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়েছেন। আমরা শুনেছি তিনি কিভাবে পিতার মতো বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জাতিসংঘে ইতিবাচক বস্তুনিষ্ঠ, মানবতাবাদী বক্তৃতা দিয়েছেন। যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, শান্তির আহবান জানিয়েছেন। তার বক্তৃতা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।

Manual3 Ad Code

কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রণধ্বনি জয় বাংলা নির্বাসনে, স্বাধীনতার মূল্যবোধ নির্বাসনে পাঠানো হলো। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে গেলো। তারপর ৬টি বছর আমরা অমানিসার অন্ধকারে ছিলাম। দল কলহ-কোন্দলে জর্জরিত ছিলো। দুঃখিনী বাংলায় পিতার রক্তভেজা মাঠিতে অন্ধকারে আলোকবর্তিকা হয়ে শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন। সুনামগঞ্জ থেকে সন্দরবন ঘুরে ঘুরে দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।

শেখ হাসিনা না দেশে ফিরে না আসলে যুদ্ধাপরাধী বিচার করার দুঃসাহস কারো হতো? বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যার বিচার কি হতো? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করেছিলেন। দলের কর্মীদের খোঁজখবর রাখার জন্য দলের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, পকেট কমিটি করা চলবে না। দুঃসময়ে নিবেদিত কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ।

Manual4 Ad Code

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সদস্য সফুরা বেগম রুমি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম হিরু।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code