সর্বশেষ

» বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছিল : আইজিপি

প্রকাশিত: ১৯. সেপ্টেম্বর. ২০২২ | সোমবার


Manual6 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তারা রক্তপাত পছন্দ করে না, নির্মম হত্যাযজ্ঞ পছন্দ করে না। তবু এ দেশ বারবার সন্ত্রাসবাদ কর্তৃক আক্রান্ত হয়েছে। বারবারই শান্তিপ্রিয় মানুষ তাদের প্রতিহত করেছে। আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করেছি, এই সন্ত্রাসবাদ বাইরে থেকে এসে আছড়ে পড়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে যে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত, সেটি সুফিসাধকদের দ্বারা প্রচারিত ও প্রাসারিত। ফলে আমাদের দেশে ইসলামি যে মূল্যবোধ প্রভাবিত সেটি অত্যান্ত শান্তিবাদী।  আমাদের দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে অনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। এটিও সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থামাতে সক্ষম হয়।

আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন হলে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

Manual8 Ad Code

আইজিপি বলেন, কোথাও কোথাও সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে সব ইউনিটকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ জঙ্গিরা যেন আমাদের অবাক না, ‘সারপ্রাইজ’ করতে না পারে।

তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে জঙ্গিদের হুমকি শেষ হয়নি। যতদিন পর্যন্ত বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না হবে ততদিন পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সচেতন থাকতে হবে। আমরা যদি কেউ আত্মতুষ্টিতে ভুগি তাহলে সেটা অন্যায় হবে। আমাদের এই দেশের ১৬ কোটি মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। যেন সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এটি ছিল আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা, সংগতির অভিযাত্রা তার একটি বিশেষ মুহূর্তের বিশেষ প্রয়োজন। এ দেশ বারবার সন্ত্রাসবাদ কর্তৃক আক্রান্ত হয়েছে। বারবারই শান্তিপ্রিয় মানুষ তাদের প্রতিহত করেছে। আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি এই সন্ত্রাসবাদ বাইরে থেকে এসে আছরে পড়েছে। আমাদের দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয় তারা রক্তপাত পছন্দ করে না, নির্মম হত্যাযজ্ঞকে পছন্দ করে না।

পুলিশপ্রধান বলেন, ’৬০-এর দশকের শেষ দিকে দেখেছি কমিউনিস্ট আন্দোলন। সেই সময়ে পশ্চিম বাংলায় নকশালবাদীদের মুভমেন্টের কারণে মার্কসবাদী কমিউনিস্টরা অস্ত্র হাতে তুলে নেয় এবং স্বাধীনতার পরে এই মার্কসবাদী আন্দোলন বিলুপ্ত হয়। তালেবানরা যখন যুদ্ধ করছিল, বাংলাদেশ থেকে অনেকে সেখানে যায়। তারা ফিরে এসে হুজি গঠন করে। কিছু নিরীহ মানুষকে হত্যা করার চেষ্টা করে। সেটাও প্রতিহত করা হয়।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে আল কায়েদা ও আইএসে উদ্বুদ্ধ হয়ে কিছু দেশীয় সন্ত্রাসী আবার বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করার চেষ্টা করে। সেটিও সাধারণ মানুষ ও সরকারের নেতৃত্বে পরাস্ত করা হয়। এই যে জঙ্গিবাদের সঙ্গে লড়াই, এটি সহজ ছিল না। লড়াইয়ের পেছনে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স পলিসি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।

Manual6 Ad Code

বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা জানি যে ইসলাম শান্তির ধর্ম। সাধারণ মানুষকে খুন করা হয় তখন আমাদের বুঝতে হবে, কারা তাদের মোটিভেশন দিয়ে এই কাজগুলো করাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। আইএস ও আলকায়েদার বিস্তারে সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী। এসব সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো নির্দিষ্ট একটি ধর্মের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। যারা সদস্য হিসেবে মুসলিম নিরীহ মানুষদের হত্যা করছেন তারা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের হয়ে কাজ করছেন। এর কারণে আমাদের শান্তিপ্রিয় ধর্মকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হেয় করা হয়েছে। এই সন্ত্রাস দমনে সরকার এটিইউ প্রতিষ্ঠা করেছে। যার কারণে বর্তমানে দেশে সাতটি থেকে আটিটি ইউনিট লড়াই করছে।

Manual5 Ad Code

তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে সপ্তাহে সপ্তাহে দেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতো। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো বিমান বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এখানকার দূতাবাসগুলোকে নন-ফ্যামিলি মিশন ঘোষণা করেছিল। আমরা সরকারের পলিসি ও মানুষের সহযোগিতায় বিপজ্জনক পরিবেশ থেকে জঙ্গিবাদকে আবারও পরাস্ত কতে সক্ষম হয়েছি।

Manual6 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code