সর্বশেষ

» কানাইঘাটে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী, যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ২৭. সেপ্টেম্বর. ২০২২ | মঙ্গলবার

কানাইঘাট প্রতিনিধি:: কানাইঘাটে এক কাঠ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবীর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে রুজেল আহমদ (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ। একইসাথে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে অপহৃত ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল কাদিরগ্রামের করিম আলীর পুত্র আলমগীর হোসেন (৪৩) গত রবিবার সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় চতুল বাজারে আসেন। এরপর আলমগীর হোসেন রাতে বাড়ি ফিরে আসেননি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের লোকজন সব জায়গায় তাকে খোঁজাখুজি করে তাঁকে না পেয়ে গত সোমবার থানায় নিখোঁজ আলমগীর হোসেনের ভাই মো. কাওছার বাদী হয়ে সাধারণ ডায়রি করেন।

সোমবার বিকেল থেকে নিখোঁজ আলমগীর হোসেনের নাম্বার থেকে তার ভাই কাওছারকে ফোন করে আলমগীরের উপর নির্যাতনের আর্তনাদ শোনানো হয় এবং মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবী করে দুটি বিকাশ নাম্বার দেয় অপহরণকারীরা।

তাৎক্ষণিক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অপহরণকারীদের আটক ও অপহৃত ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করার জন্য কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম ও থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ বেশ কয়েকটি পুলিশের টিমকে বিভিন্ন এলাকায় প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযানে পাঠান।

একপর্যায়ে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবীর ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের সুতারগ্রামের তবারক আলীর পুত্র রুজেল আহমদকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অপরদিকে পুলিশ কানাইঘাট গাছবাড়ী বাজারের সুরমা নদীর অপরপার বিয়ানীবাজার থানার শিকারপুর গ্রামের রাস্তার পাশে অচেতন হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করে।

এ অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবীর ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন এলাকায় এখনও পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ জানান। এ ঘটনায় থানায় ৫ জনকে আসামী করে অপহরণ ও চাঁদা দাবীর ঘটনার মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি। থানার মামলা নং- ২২, তারিখ- ২৭/০৯/২০২২ইং।

পুলিশ আরও জানায়, ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে রবিবার রাতে পৌরসভার মহেশপুর এলাকা থেকে এ অপহরণ করা হয়।

অপহরণকারীদের হাতে গুরুতর আহত এ ব্যবসায়ীকে উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পুরো শরীর জুড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আলমগীর হোসেনের ভাই মো. কাওছার জানান, তার ভাই চতুল বাজারের একজন চিরাকাঠ ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছ ক্রয় করে ব্যবসা করেন। তাকে অপহরণের পর তাদের কাছে অপহরণকারীরা ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031