সর্বশেষ

» কাতারে কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম সিলেটের উসামা চৌধুরী

প্রকাশিত: ১০. এপ্রিল. ২০২২ | রবিবার

চেম্বার ডেস্ক:: কাতারে শেখ জাসেম বিন মুহাম্মদ আলথানি কুরআন প্রতিযোগিতার এবারের ছিল ২৭তম আসরে দুটি শাখায় প্রথম স্থান ছিনিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশী কিশোর ও তরুণী। আধুনিক কাতারের স্থপতি শেখ জাসেম বিন মুহাম্মদ আলথানির নামে কাতারে প্রতিবছর সরকারি ভাবে জাতীয় পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ বছর অনুষ্ঠিত এই কুরআন প্রতিযোগিতায় তিন শাখার মধ্যে বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত দুই শাখায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশি দু’জন হাফেজ। এদের মধ্যে এক শাখায় প্রথম স্থান অর্জনকারী উসামা চৌধুরীর বয়স ১৪ বছর। সিলেটের শাহপরান থানায় খাদিমপাড়ায় তাঁর বাড়ি। অন্য শাখায় প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশি তরুণী আয়েশা। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে।

কাতারে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় বয়স কিংবা নারী-পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা শাখা থাকে। ফলে এই দু’শাখায় অংশ নিয়েছেন কাতারে বসবাসরত আরব ও অনারব বিভিন্ন দেশের নানা বয়সের হাফেজ নারী ও পুরুষরা। আর এদের সবাইকে পেছনে ফেলে দুটি শাখায়ই প্রথম স্থান জয় করেন বাংলাদেশি এই হাফেজ কিশোর ও হাফেজা তরুণী।

প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত কাতারের ধর্মমন্ত্রী ও সুধীজনরা বাংলাদেশিদের এমন জয়জয়কার দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। কাতারের ধর্মমন্ত্রী গানেম বিন শাহিন বলেছেন, পবিত্র কুরআন মুখস্ত বিদ্যায় বাংলাদেশিদের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়।কাতারে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় দুটি শাখায় বাংলাদেশিদের প্রথম হওয়ার খবরে আনন্দিত কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয় চলতি রমজানের প্রথম সপ্তাহে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।

কাতারের জাতীয় মসজিদে সপ্তাহব্যাপী তিনটি ধাপে প্রতিযোগিতা শেষে রাজধানী দোহার শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে কাতারের ধর্মমন্ত্রী গানেম বিন শাহিন আলগানেম বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার সনদ ও অর্থ তুলে দেন।

এ বছরের প্রতিযোগিতায় একটি শাখায় প্রথম স্থান অর্জনকারী উসামা চৌধুরীর বয়স ১৪ বছর। সিলেটের শাহপরান থানায় খাদিমপাড়ায় তাঁর বাড়ি। উসামার বাবা মাওলানা শিহাবুদ্দীন তিন বছর আগে কাতারে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনিও কাতারে ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে কাতারের একটি স্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্র উসামার জন্ম কাতারে।

আরেক শাখায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশি তরুণী আয়েশার বাবার নাম উমর ফারুক। তাঁর বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি কাতারে বাস করছেন। বর্তমানে আজিজিয়া এলাকায় একটি মসজিদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বিশেষ বিভাগে আয়েশা প্রথম হওয়ায় পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন এক লাখ কাতারি রিয়াল। এর আগে আরও ৫ বার পুরস্কার পেয়েছেন আয়েশা। ২০১৫ সালেও প্রথম হয়েছিলেন তিনি।

আয়েশার বোন আজিজা এবার অন্য আরেকটি শাখায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার কাতারি রিয়াল। অনুষ্ঠানে দুই মেয়ের পক্ষে বাবা ওমর ফারুক কাতারের ধর্মমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

সূত্র: সিলেট প্রতিদিন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031