মেজর সিনহা হত্যা : এপিবিএনের তিন সদস্য ৭ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ১৮. আগস্ট. ২০২০ | মঙ্গলবার

Manual2 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

Manual3 Ad Code

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন।

র‌্যাবের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খায়রুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ সকালে গ্রেফতারকৃত এপিবিএপনর তিন সদস্যকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত  শুনানি শেষে প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-পরিদর্শক শাহাজাহান, কনস্টেবল রাজিব ও আব্দুল্লাহ। শভরা তিনজনই গত ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলেন।

Manual4 Ad Code

এর আগে গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারে কর্মরত এপিবিএন-১৪-এর সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আবদুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কক্সবাজারে র‌্যাব-১৫-এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে সিনহা হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে তাদের হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। আজ সকালে তাদের তিনজনকে কক্সবাজার আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে সিনহা হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।

নতুন গ্রেফতার হওয়া তিনজন গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই চেকপোস্টে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি আর রামু থানায় একটি মামলা করে।

Manual5 Ad Code

এর আগে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, ঘটনার দিন এপিবিএনের ওই তিন সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে সিনহা হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

Manual1 Ad Code

সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এঁদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক। বাকিদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ ছাড়া পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখায় র‌্যাব।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code