সর্বশেষ

জিয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছে, এ রকম কোনো নজির নাই :প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩১. আগস্ট. ২০২১ | মঙ্গলবার

Manual3 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

Manual7 Ad Code

 

আজ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের শোক দিবসের আলোচনায় যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার করা হয়েছিল। কিন্তু সে কখনো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছে, এ রকম কোনো নজির নাই। কেউ দেখাতেও পারবে না। কর্নেল রশিদ ও ফারুক বিবিসিতে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছে, সেখানে তারা স্বীকার করেছে, জিয়াউর রহমান এই খুনিদের সঙ্গে ছিল।’

Manual1 Ad Code

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেধাবী ছাত্রদের অস্ত্র, মাদক ও অর্থ তুলে দিয়ে বিপথে নিয়ে গেছে জিয়াউর রহমান। তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে হুমকি দিয়েছিল, আওয়ামী লীগকে মোকবিলা করতে তার ছাত্রদলই যথেষ্ট। তিনিও ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন।’

 

Manual1 Ad Code

তিনি বলেন, ‘আমাদের পায়ে পায়ে শত্রু আছে। আমাদের চলার পথ মসৃণ না, কন্টকাকীর্ণ। সে কথা মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেও সৎ পথে থাকলে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগুলে, সফলতা আসবেই। তবে সত্যের পথ সব সময় কঠিন থাকে। এই কঠিনকে সঙ্গে করে যারা এগিয়ে যেতে পারে, তারাই সাফল্য আনতে পারে।’

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-এর পর বঙ্গবন্ধু নামটা মুছে ফেলা হয়েছে। বিকৃত ইতিহাস প্রচার করা হতো। জয় বাংলা স্লোগানও নিষিদ্ধ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ নিষিদ্ধ করা হয়। ভাবখানা এমন দেশ স্বাধীন হয়নি। আজকে আর বঙ্গবন্ধুর নাম মুছা যাবে না। স্বাধীনতার ইতিহাস মুছা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, আমার দেখা নয়া চীন ও গোয়েন্দা ডায়েরী ৭ খণ্ডে প্রকাশ করেছি। সেখান থেকেই বাংলাদেশের ইতিহাস এবং সত্য বেরিয়ে আসে।’

 

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বদৌলতেই জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হয়েছিল। পাকিস্তান থাকলে সে কিন্তু মেজরই থেকে যেতো।’

 

মায়ের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার মা ছাত্রলীগ সংগঠনকে গড়ে তোলা, দিকনির্দেশনা দিতেন। আর্থিক সংকট দেখা দিলে নিজের হাতের গয়না বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে দিয়েছেন। সব সময় আমাদের পরিবারের উপর গোয়েন্দা নজরদারি ছিল। আমার মা এত সুক্ষ্মভাবে কাজগুলো করতেন, গোয়েন্দারা টেরই পায়নি।’

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।

Manual6 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code