» স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

প্রকাশিত: ৩১. মে. ২০২১ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: করোনাভাইরাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তবর্তী কিংবা যেকোনো জেলা বা কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় লকডাউন আরোপ এবং কার্যকরে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার।

 

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এটা তো জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন, মেয়র সাহেবরা যারা আছেন, স্থানীয় এমপি সাহেবরা যারা আছেন, ওনাদের আমরা আগেই বলে দিয়েছি।’

 

উদাহরণ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে টানেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। বলেন, ‘সেখানে লকডাউন করার প্রস্তাবনা স্থানীয় পর্যায় থেকে এসেছিল। তারাই আমাদের সাজেশন করেছিল। আমরা বলেছি, ঠিক আছে। ইফ ইউ থিঙ্ক যে ইট ইজ ভেরি মাচ নেসেসারি গো ফর দি লকডাউন।

 

তিনি বলেন, ‘আমরা আরও ডিস্ট্রিক্টগুলোকে বলে দিয়েছি, যদি তোমরা মনে করো পুরো জেলাকে না করে বর্ডার এলাকাটা করা লাগবে, ইউ ক্যান ডু দিস।’

 

মৌসুমি ফলের ব্যবসার কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গের বিষয়ে এখনও চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানান সচিব। বলেন, ‘নর্থ বেঙ্গলে এখন আমের একটা বড় সিজন। এই সময় যদি পুরোপুরি লকডাউন দেন তখন কী হবে- এগুলো বিবেচনায় আছে। যদি হার্মফুল মনে করি তবে দেখি, এখনও সাজেশনটা আমি পাইনি।’

 

এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নের সুপারিশ রেখে যে চিঠি দেয়া হয়েছে সেটি তিনি খুঁজে পাননি বলে জানান। বলেন, ‘আমি চেক করেছি। চিঠিটা এখনও পাইনি।’

 

স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন কার্যকর করার ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হয় সচিবের কাছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘কেবিনেট থেকে একই কথা বলা হয়েছে, আমরা লকডাউন ৬ তারিখ পর্যন্ত বাড়িয়েছি। আর যদি স্থানীয়ভাবে কোথাও মনে হয় যে… গতবারও আমরা বলেছি ছোট ছোট জায়গায় যদি লকডাউন করার মতন হয় করা যাবে।’

 

স্থানীয় কিছু জেলায় অক্সিজেন সংকটের বিষয়টি তুলে ধরা হলে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘গত পরশু দিন (শনিবার) ডিজি হেলথকে সরাসরি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যে জেলাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে আপনি যত দ্রুত সম্ভব অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন।

 

‘ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের যদি ডিস্ট্রিক্টে না হয় তাহলে নিয়ারেস্ট যে মেডিক্যাল কলেজ আছে সেখানে যেন কুইকলি শিফট করা যায়। ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্টে যারা আক্রান্ত তাদের সেগ্রিগ্রেটেড করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে’- যোগ করেন তিনি।

 

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অনেক কম স্প্রেড হচ্ছে। ইন্ডিয়া থেকে যারা আসতেছে তাদের কাউকে ১৪ দিনের বাইরে একজনকেও ছাড়া হয়নি। নট এ সিঙ্গল পারসন।’

 

এ সময় বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ইভেন আমাদের সাকিব আর মুস্তাফিজ যে গিয়েছিলেন তারা ১২ দিনের মাথায় ক্রিকেট বোর্ড বলার পরও আমরা এগ্রি করিনি।

 

‘তাদের আমরা বোঝালাম তোমরা আমাদের আইকন টাইপের। তোমরা যদি মেনে চলো তাহলে আমাদের সবার জন্য সুবিধা। আমাদের কো-অপারেট করেছে সে জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

 

এখনও সবার মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা তৈরি না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘বারবার বলা সত্ত্বেও অনেক লোক মাস্ক পরে না। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে একটু কো-অপারেট করতে হবে। আমরা বারবার বলছি দিস ইজ কমিউনিটি ডিজিজ।’

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031