সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়তে কমনওয়েলথকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ২৪. মে. ২০২১ | সোমবার

Manual2 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: টেকসই এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে সমৃদ্ধ পৃথিবী গড়তে কমনওয়েলথকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৪ মে) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এশিয়ার আঞ্চলিক কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের গোলটেবিল সভায় (ভার্চুয়াল) এ আহ্বান তিনি।

 

রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে ওয়েলস চার্লসের প্রিন্স ফিলিপ আর্থার জর্জ এ সভা আহ্বান করেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য টেকসই এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের জন্য কমনওয়েলথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

Manual3 Ad Code

 

কমনওয়েলথ সদস্য দেশ এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে  কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখে কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। কার্যকর  এবং দক্ষ উপায়ে আরও বেশি স্থিতিশীল ও উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন গড়তে বিশ্বজুড়ে সবুজ ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সার্কুলার অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।

 

ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিধানসহ কার্বন নিরপেক্ষ প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। অভিযোজনে সহায়তা করতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে জলবায়ু অর্থায়ন করতে বলেন তিনি।

 

গৃহহীনদের আশ্রয় প্রদানের দিকে সবাইকে মনোনিবেশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গৃহহীনদের আশ্রয় প্রদান দারিদ্র্য বিমোচন এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জলবায়ু ক্ষতি হ্রাসের সর্বোত্তম কৌশল।’

 

Manual6 Ad Code

জলবায়ুর ক্ষতি প্রশমন এবং অভিযোজনের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের প্রশংসিত হওয়ার কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বে অ্যাডাপটেশন লিডার হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতি বছর জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজন ব্যবস্থার জন্য নিজস্ব সম্পদ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে।’

 

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম-সিভিএফের চেয়ারম্যান এবং জিসিএ’র দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের হোস্ট হিসেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা, স্থানীয়ভাবে অভিযোজন সমাধান এবং নদীভাঙনের শিকার লোকদের জন্য বাড়িঘর তৈরিসহ তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি।’

 

Manual1 Ad Code

কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং বৃক্ষ রোপণসহ জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে জলবায়ু ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি ইনিশিয়েটিভ’ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের আওতায় বাংলাদেশ কম কার্বন নিঃসরণ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ গিগা ওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন এবং ৩০ মিলিয়ন বৃক্ষ রোপণ করতে যাচ্ছি।’’

 

করোনা মহামারির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গোটা বিশ্ব অভূতপূর্ব এবং অনিশ্চিত এক মহামারি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও পরিস্থিতি একই। স্বাস্থ্য সংকটের বাইরেও এই মহামারি আরও অনেক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। যার জন্য আমার সরকার জীবন ও জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে নীতি এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মহান আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ এই মহামারির ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমিত করে আর্ত-সামাজিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।’

Manual2 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code