সর্বশেষ

» পলাতক থেকেও একাধিক মামলার আসামী নরসিংন্দীর অর্ধশতাধিক যুবক

প্রকাশিত: ০৫. জুন. ২০২৩ | সোমবার

নরসিংন্দী সংবাদদাতাঃ নরসিংন্দীর পলাশ উপজেলায় মামলা যেন পিছুই ছাড়ছে না বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের। পুলিশ এবং ছাত্রলীগের দায়ের করা একাধিক মামলায় জর্জরিত হয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন যুবদল ও ছাত্রদল নেতা দেশ ছেড়েছেন। দীর্ঘদিন থেকে পলাতক থেকেও অনেকে রেহাই পাচ্ছেন না মামলা থেকে। এমন অর্ধশতাধিক যুবকের তথ্য পেয়েছে গণমাধ্যম ৷

তাদের পরিবার এবং দলীয় সূত্র বলছে,হামলা-মামলার ভয়ে দীর্ঘ দিন থেকে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মিছিল-মিটিং সহ বিএনপির সকল কর্মসূচীতে দীর্ঘদিন থেকে তারা অনুপস্থিত। তারপরও নতুন নতুন মামলায় তাদেরকে আসামী করা হচ্ছে।

দীর্ঘ দিন থেকে ফেরারি থেকেও মামলায় আসামী হয়েছেন-এমন ৩ জন তরুণের করুণ কাহিনী নিয়ে এবারের প্রতিবেদন। পর্যায়ক্রমে হয়রানীর শিকার অন্যান্য তরুণদের নিয়েও ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এ পর্বের ৩ তরুণ তরিকুল ইসলাম,বেলায়েত হোসেন ও নাজমুল হাসান। নরসিংন্দীতে না থেকেও ২০২৩ সালের ২ টি মামলার আসামী হয়েছেন তারা। এর মধ্যে একটি মামলা হয়েছে গত ১৭ জানুয়ারী। মামলার বাদী ছাত্রলীগ নেতা ইউসুফুল ইসলাম। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে,ছাত্রদলের মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা ইউসুফুল ইসলামকে। এ অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের ৯ জন নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা করেছেন ইউসুফ। এ মামলার ৩ নং আসামী তরিকুল ইসলাম,৪ নং বেলায়েত হোসেন এবং ৬ নং নাজমুল হাসান।

ঘটনার মূল তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়,চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারী পলাশ উপজেলায় মিছিল বের করার প্রস্তুুতি নিচ্ছিল ছাত্রদল। এসময় সে মিছিলে গুলি চালায় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ছুঁড়া গুলিতে পলাশ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় পরদিন উল্টো ছাত্রলীগ বাদী হয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের আসামী করে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় আসামী করা হয় তরিকুল,বেলায়েত এবং নাজমুল হাসানকে।

উল্লেখিত এই তিন তরুণের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে গত ২৬ মে। ঘটনার খোঁজ নিয়ে জানা যায়,চলতি বছরের ২৫ মে ছাত্রদল নেতাদের বিক্ষোভ ও মোটরসাইকেল শুভাযাত্রায় হামলা চালিয়েছিল দূর্বৃত্তরা। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছিলেন। এ ঘটনায় নিহত ছাত্রদল নেতা বাদী হয়ে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৩ নং আসামী করা হয়েছে নাজমুল হাসানকে। ৭ নং আসামী করা হয়েছে তরিকুল ইসলামকে এবং ৯ নং করা হয়েছে বেলায়েতকে।

পলাশ থানা বিএনপি নেতাদের অভিযোগ,পুলিশ এবং আওয়ামীলীগ নেতারা নিহতের ভাইকে দিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য করেছেন। এ হামলা ও হত্যাকান্ডে মূলত ছাত্রলীগ জড়িত। মূল অপরাধীদের আড়াল করতে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে বাদীকে বাধ্য করা হয়েছে।

এদিকে এলাকায় না থাকার পরও মামলায় নাম দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন উল্লেখিত ৩ তরুণের পরিবার। তাদের পরিবারের অভিযোগ,হত্যা কিংবা গুম-অপহরণের ক্ষেত্র তৈরির উদ্দেশ্যেই এসব মিথ্যা মামলায় অনুপস্থিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

August 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031