সর্বশেষ

» পুড়ে ছাই কয়েক হাজার ঘর: সড়কের পাশে অবস্থান রোহিঙ্গাদের

প্রকাশিত: ২২. মার্চ. ২০২১ | সোমবার


Manual8 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় কয়েক হাজার ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের পর রোহিঙ্গারা ঘরবাড়ি ছেড়ে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়েছেন। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

 

চার ঘণ্টাব্যাপী আগ্নিকাণ্ডে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সাত ইউনিট এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের পর পুরো ক্যাম্প এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আমর্ড ব্যাটলিয়ন মোতায়ন করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৮ ডব্লিউ-তে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা কেউ বলতে পারেনি।

 

পরে বালুখালী ক্যাম্প ৮ই, বালুখালী ক্যাম্প ৯ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের থেকে রোহিঙ্গা নর-নারী শিশু ছেলেমেয়েদের নিয়ে প্রাণ ভয়ে দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। অনেক রোহিঙ্গা নর-নারী সহায়-সম্বল হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন বলে জানান। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার বালুখালী পান বাজার থেকে থাইংখালী পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে তারা আশ্রয় নিয়েছেন।

 

উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ তানজীম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া স্টেশন, রামু স্টেশন ও কক্সবাজার স্টেশনের সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

Manual2 Ad Code

 

Manual2 Ad Code

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও কর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, শুরুতে এই আগুন ৮ নম্বর ক্যাম্পে লাগলেও ধীরে ধীরে তা ৯, ১০, ১১ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়েছে। চারদিকে এক ধরনের আতংক বিরাজ করছে। অবস্থা খুব খারাপ,  কোনভাবে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

Manual1 Ad Code

 

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো  বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা বলেন, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুপুরে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুন এখনো জ্বলছে। তবে আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, উখিয়া পুলিশ, এপিবিএন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবাইকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আগুন নেভানোর জন্য সবাই একযোগে কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত কী পরিমাণ রোহিঙ্গাদের বসতি ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।

Manual6 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code