- Топ безопасных казино с быстрыми выводами средств
- Влияние звуков в расслаблении по завершении дня
- Исследование онлайн-клуба для развлечений с акцентом на вложения и казино.
- Почему ночные привычки важны для душевного равновесия
- Лучшие онлайн игорных заведений безо потребности подтверждения личности: играйте анонимно.
- Анализ онлайн-казино: создание аккаунта и игра на настоящие деньги.
- 7 slots Casinoda Kazanç Þansý Yüksek Slot Seçenekleri
- Рассмотрение онлайн-казино: регистрация и азартная игра на деньги.
- Лучшие геймерские сайты с особенными бонусами
- Рецензия на казино с немедленными выводами средств и акционными предложениями.
রাতারগুল: বার বার যেথায় ছুটে যেতে চায় মন || জাহেদ আহমদ
প্রকাশিত: ২০. আগস্ট. ২০২০ | বৃহস্পতিবার
জাহেদ আহমদ: নিঝুম ঝকঝকে দুপুর। তটিনীর কূলে ডেকে যায় একলা ডাহুক। এমন নিস্তব্ধ দুপুরে শুধু নৌকার বৈঠা শব্দ করছে ছলাৎ ছল ছলাৎ ছল। এমনই এক ঘোর মাখা সময়েই ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম বাংলার অ্যামাজন নামে পরিচিত সিলেটের গোয়াইনঘাটের রাতারগুলে। তাও একা নয় হয় যদি স্বপরিবারে তাহলে তো সোনায় সোহাগা। আমার বেলায়ও হয়েছিল তাই। প্রিয় স্থান ঘুরে ঘুরে বাস্থব উপলব্ধি এটাই বার বার যেথায় ছুটে যেতে চায় মন।
রাতারগুল আমাদের দেশের একমাত্র ‘ফ্রেশওয়াটার সোয়াম্প ফরেস্ট’ বা জলাবন। সিলেট থেকে দেশের একমাত্র স্বীকৃত এই সোয়াম্প ফরেস্টের দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে এই জলাবনের অবস্থান। উত্তরে মেঘালয় থেকে নেমে আসা স্রোতস্বিনী গোয়াইন নদী, দক্ষিণে বিশাল হাওর। মাঝখানে ‘জলাবন’ রাতারগুল। উইকিপিডিয়ায় পাওয়া তথ্যমতে সারা পৃথিবীতে স্বাদুপানির জলাবন আছে মাত্র ২২টি। ভারতীয় উপমহাদেশ আছে এর দুটি, একটা শ্রীলংকায় আর আরেকটা আমাদের রাতারগুলে।
অনিন্দ্য সুন্দর বিশাল এ বনের সঙ্গে তুলনা চলে একমাত্র অ্যামাজনের। রেইন ফরেস্ট নামে পরিচিত হলেও বিশ্বের স্বাদুপানির সবচাইতে বড় সোয়াম্প বন কিন্তু ওই অ্যামাজনই। ঠিক অ্যামাজন সোয়াম্পের মতোই স্বাদুপানির বন আমাদের এই রাতারগুল। সিলেটের স্থানীয় ভাষায় মুর্তা বা পাটিগাছ ‘রাতাগাছ’ নামে পরিচিত। সেই মুর্তা অথবা রাতাগাছের নামানুসারে এই বনের নাম হয়েছে রাতারগুল। অ্যামাজনের মতোই গাছগাছালির বেশির ভাগ অংশই বছরে চার থেকে সাত মাস থাকে পানির নিচে। ভারতের মেঘালয়ের জলধারা গোয়াইন নদীতে এসে পড়ে, আর সেখানকার এক সরু শাখা চেঙ্গী খাল হয়ে পানিটা প্লাবিত করে পুরো রাতারগুল জলাবনকে। বর্ষা মৌসুমের প্রায় সবসময়ই পানি থাকে বনে ( মে-সেপ্টেম্বর)। শীতকালে অবশ্য সেটা হয়ে যায় আর দশটা বনের মতোই, পাতা ঝরা শুষ্ক ডাঙ্গা। আর ছোট ছোট খালগুলো হয়ে যায় পায়েচলা মেঠোপথ। আর তখন জলজ প্রাণীকুলের আশ্রয় হয় বন বিভাগের খোঁড়া বড় বড় ডোবাগুলোতে।
বর্ষায় বড়ই অদ্ভুত এই জলের রাজ্য। কোনো গাছের কোমর পর্যন্ত ডুবে আছে পানিতে। একটু ছোট যেগুলো, সেগুলো আবার শরীরের অর্ধেকই ডুবিয়ে আছে জলে। কোথাও চোখে পড়বে মাছ ধরার জাল পেতেছে জেলেরা। ঘন হয়ে জন্মানো গাছপালার কারণে কেমন যেন অন্ধকার লাগবে পুরো বনটা। মাঝেমধ্যেই গাছের ডালপালা আটকে দিবে পথ। হাত দিয়ে ওগুলো সরিয়ে পথ চলতে হয়। তবে বর্ষায় এ বনে চলতে হবে খুব সাবধানে। কারণ রাতারগুল হচ্ছে সাপের আখড়া। বর্ষায় পানি বাড়ায় সাপেরা ঠাঁই নেয় গাছের ওপর। সব মিলিয়ে রাতারগুলো সফরে কি যে তৃপ্তি আসে তা না গেলে বুঝা যায়না।
গেল বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর গিয়েছিলাম প্রিয় দর্শনীয় স্থান রাতারগুলে। সাথে ছিলেন আমার জীবনসঙ্গী মারজিয়া মাহমুদ মণি। এছাড়াও সাথে ছিলেন আমার শাশুড়ি, সমন্দিক জামিল আহমদ সানি ও শালিকা সাদিয়া আফরিন। আমার শুভ বিবাহের মাত্র ১৬ দিন পর এই সফর ছিল অন্যরকম রোমাঞ্চ ও রোমান্টিকতার এক আবেগঘন মিশ্রন। সবাইকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখা প্রিয় স্থান নিয়ে স্মৃতিচারন করতে গেল। লেখার প্রতিটা চরনই হয়ে যাবে একটি গদ্য। পাঠক মনের বিরক্তি আসতে পারে সেই ভাবনা থেকেই স্মৃতিচারন না করে রাতারগুল নিয়েই কিছু লিখার চেষ্টা করছি। আশা করছি পাঠকদের ভাল লাগবে।
এবার রাতারগুলের প্রসঙ্গে আসি। বনবিভাগের তথ্যমতে- এই বনের আয়তন তিন হাজার ৩২৫ দশমিক ৬১ একর। এর মধ্যে ৫০৪ একর বন ১৯৭৩ সালে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। বিশাল এ বনে রয়েছে জলসহিষ্ণু প্রায় ২৫ প্রজাতির উদ্ভিদ। মূলত প্রাকৃতিক বন হলেও বেত, কদম, হিজল, মুর্তাসহ নানা জাতের পানি সহিষ্ণু গাছ লাগিয়েছে বন বিভাগ। রাতারগুল বনে সাপের মধ্যে নির্বিষ গুইসাপ, জলঢোড়া ছাড়াও রয়েছে গোখরাসহ বিষাক্ত অনেক প্রজাতি। বর্ষায় বনের ভেতর পানি ঢুকলে এসব সাপ উঠে পড়ে গাছের ওপর। বনের ভেতর দাঁপিয়ে বেড়ায় মেছোবাঘ, কাঠবিড়ালি, বানর, ভোঁদড়, বনবিড়াল, বেজি, শিয়ালসহ নানা প্রজাতির বণ্যপ্রাণী। টেংরা, খলিশা, রিঠা, পাবদা, মায়া, আইড়, কালবাউস, রুইসহ আরো অনেক জাতের মাছ পাওয়া যায় এই বনে। পাখিদের মধ্যে আছে সাদা বক, কানি বক, মাছরাঙা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ী ঢুপি, ঘুঘু, চিল ও বাজ। শীতে মাঝে মধ্যে আসে বিশালকায় সব শকুন। আর লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ঘাঁটি গাড়ে বালিহাঁসসহ হরেক জাতের পাখি। শুকনো মৌসুমে ডিঙ্গি নিয়ে ভেতরে গেলে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আপনাকে উড়ে সরে গিয়ে পথ করে দেবে। এ দৃশ্য আসলেই দুর্লভ! গাছের মধ্যে এখানে করচই বেশি। হিজলে ফল ধরে আছে শয়ে শয়ে। বটও চোখে পড়বে মাঝেমধ্যে। আর বনের দক্ষিণে মুর্তা (পাটি) গাছের প্রাধান্য। রাতারগুলের বেশ বড় একটা অংশে বাণিজ্যিকভাবে মুর্তা লাগিয়েছে বন বিভাগ। মুর্তা দিয়ে শীতল পাটি হয়। মুর্তা বেশি আছে নদীর উল্টো পাশে। এ ছাড়া ওদিকে শিমুল বিল হাওর আর নেওয়া বিল হাওর নামে দুটো বড় হাওর আছে।
বর্ষায় হাওরের স্বচ্ছ পানির নিচে ডুবে থাকা গাছগুলো দেখার অভিজ্ঞতা অপূর্ব। শীতকালে আবার বনের ভিন্নরূপ। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জেগে ওঠে মূর্তা ও জালি বেতের বাগান। সে সৌন্দর্য আবার অন্য রকম! বন এভাবে জলে ডুবে থাকে বছরে চার থেকে সাত মাস। বর্ষা কাটলেই দেখা যাবে অন্য চেহারা। তখন বনের ভেতরের ছোট নালাগুলো পরিণত হবে পায়ে চলা পথে। সেই পথ দিয়ে হেঁটে অনায়াসে ঘুরে বেড়ানো যায়। রাতারগুল বনে ঢুকতে হয় ডিঙি নৌকায় চেপে। নৌকা একবার বনে ঢুকলেই আর কথা নেই ! দুটি মাত্র শব্দ লাগবে আপনার ভাব প্রকাশের জন্য, আপনি হয় তো বলে উঠবেন- “আমি মুগ্ধ” ! আর বোনাস হিসেবে পাবেন গোয়াইন নদী দিয়ে রাতারগুল যাওয়ার অসাধারণ সুন্দর পথ, বিশেষ করে বর্ষায়। এ ছাড়া নদীর চারপাশের দৃশ্যের সঙ্গে দেখবেন দূরে ভারতের মিজোরামের উঁচু সবুজ পাহাড়।
সব মিলিয়ে বাংলার আমাজন অর্থাৎ সিলেটের সুন্দরবন খ্যাত রাতারগুল গেলে সত্যিই বার বার ছুটে যেতে মন চাইবে। জলরাশি মিশ্রিত সবুজের সমারোহ নয়নাভিরাম দৃশ্যগুলো দেখলেই মনের অজান্তেই প্রিয় কবি, প্রিয় শিল্পী মতিউর রহমান মল্লিকের সুরে মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে-
”আল্লাহ তোমার সৃষ্টি যদি হয় এতো সুন্দর
না জানি তুমি কত সুন্দর
প্রভু তুমি কত সুন্দর।”
তাই দেরি নয় আজই ঘুরে আসুন রাতারগুল। খাবার খেলে যেমন ক্ষুধা নিবারন হয়, তেমনী মনের খোরাক নিবারন করে একটি সুন্দর সফর। আর তা যদি হয় রাতারগুল তাহলে নিঃসন্দেহে আপনার জীবনের ডায়রীতে যোগ হবে একটি নতুন স্মৃতির অধ্যায়। প্রভুর সুন্দর সৃষ্টি অবলোকন মনের খোরাক মেঠানোর পাশাপাশি। মহান রবের প্রতি ভালবাসা ও আবেগ বৃদ্ধি করবে বলে আমার শতভাগ বিশ্বাস।
লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।
সর্বশেষ খবর
- Топ безопасных казино с быстрыми выводами средств
- Влияние звуков в расслаблении по завершении дня
- Исследование онлайн-клуба для развлечений с акцентом на вложения и казино.
- Почему ночные привычки важны для душевного равновесия
- Лучшие онлайн игорных заведений безо потребности подтверждения личности: играйте анонимно.
সর্বাধিক পঠিত খবর
- সিলেট সরকারি মদন মোহন কলেজে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
- সিলেট-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আশিক চৌধুরীর লিফলেট বিতরণ
- কানাইঘাট প্রেসক্লাবে প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের নিয়ে মতিবিনিময়
- কানাইঘাটে বিএনপির জনসভা: সিলেট-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী চান নেতাকর্মীরা
- জাতির প্রত্যাশা পূরণে জামায়াতের পথ চলা অব্যাহত থাকবে : মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন

