» ইউরোপে করোনার তৃতীয় ঢেউ, বিভিন্ন দেশে ফের লকডাউন

প্রকাশিত: ২১. মার্চ. ২০২১ | রবিবার

চেম্বার ডেস্কঃ ইউরোপে করোনাভাইরাস মহামারির ‘তৃতীয় ঢেউ’ আঘাত করতে শুরু করেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ হুমকির মুখে লাখ লাখ মানুষের ওপর নতুন করে লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।

 

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মনে করছেন, ইউরোপে করোনার টিকাদানে ধীরগতি এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ব্যবহার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ফলে সংক্রমণ আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে। শনিবার থেকে পোল্যান্ড, প্যারিসসহ ফ্রান্সের কিছু অংশ এবং ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সেখানকার বেশিরভাগ দোকান-পাট বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া লোকজনকে বাড়ি থেকেই কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

ফ্রান্সে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানী প্যারিস এবং উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।

 

কড়াকড়ির আওতায় প্যারিসে সব ধরনের অনাবশ্যক ব্যবসা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে স্কুল এখনো খোলাই আছে। এ ছাড়া বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বের মতে হাঁটাচলা এবং ব্যায়ামের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।

 

নতুন কড়াকড়িতেও আগের মতোই নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হচ্ছে। বাড়ি থেকে বের হতে হলেও কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কারণ দেখাতে হবে। অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে না।

 

সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফ্রান্সের ১৬টি এলাকার ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের ওপর শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আংশিক লকডাউন আরোপ করা হয়। প্যারিসের স্টেশনগুলো থেকে রেল বোঝাই লোকজনকে লকডাউন শুরুর আগেই শহর ত্যাগ করতে দেখা গেছে। যেসব জায়গায় সংক্রমণ কম বেশিরভাগ লোকজন সেখানে চলে যাচ্ছেন। তবে ফ্রান্সের এই নতুন বিধিনিষেধ আগের লকডাউনের মতো অতোটা কঠোর নয় বলে জানানো হয়েছে।

 

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রাঁ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, শুধু ‘লকডাউন’ শব্দটি সরকারের কৌশল ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। আমরা যা চাই তা হচ্ছে নিজেদের সব কিছু বন্ধ করে না দিয়ে বরং ভাইরাস সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা করা।

 

এদিকে, পোল্যান্ডে শনিবার থেকে জরুরি নয় এমন সব দোকানপাট, হোটেল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া ক্ষেত্রগুলো তিন সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে।

 

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার ব্রিটিশ ধরনটি খুবই সংক্রামক বলে লকডাউন দিতে হচ্ছে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, মোট সংক্রমিত লোকের শতকরা ৬০ ভাগ এই নতুন ধরনের করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

 

জার্মানিতেও সংক্রমণ দ্রুতহারে বাড়ছে। চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে লকডাউন আরোপের কথা বলেছেন। বেলজিয়াম ও সুইজারল্যান্ডে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।

 

অন্যদিকে ব্রিটেন, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসহ একাধিক দেশে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভও হচ্ছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031