সর্বশেষ

খাদ্যে ভেজালকারীদের কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১৮. ফেব্রুয়ারি. ২০২১ | বৃহস্পতিবার


Manual7 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক::খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে খাবারে ভেজালকারীদের কঠোরভাবে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খাবারে ভেজালকারীদের দমনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের মান নিশ্চিতের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

Manual8 Ad Code

 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ব্যবসা করতে চায় বা ব্যবসা করছে, দুই পয়সা বেশি কামাই করার জন্য, তারা এই ভেজাল দিতে থাকে, বা পচা-গন্ধযুক্ত খাবার আবার ব্যবহার করে। এই ব্যাপারে একদিকে যেমন সচেতনা সৃষ্টি করতে হবে…যে ঠিক আছে আপনারা পয়সা যেটা খরচ হবে সেটা নিয়েন। লাভের অংশও ওইভাবে হিসেব করেন। কিন্তু এইভাবে ভেজাল দিয়ে মানুষের ক্ষতি করবেন না।

 

তিনি বলেন, একদিকে যেমন তাদের বোঝানো, তাদের ভেতর সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, অপরদিকে যেটা করতে হবে সেটা হলে কঠোর হস্তে এটা দমনও করতে হবে। দুইদিকে ব্যবস্থা নেওয়া একান্তভাবে দরকার। সেই ব্যবস্থাগুলো আপনাদের নিতে হবে।

 

Manual6 Ad Code

জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

 

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাব, ইতোমধ্যে আপনারা ঢাকা শহরে বিভিন্ন হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলো..সেগুলোতে গ্রেডিং স্টিকার দিয়ে দিচ্ছেন এবং মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এটা অত্যন্ত ভালো কাজ। এ কাজটা শুধু রাজধানীতে করলে হবে না। এটা সারা বাংলাদেশে করা দরকার। সেদিকে আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন। এই ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানোর জন্য আপনারা যে পদক্ষেপই নেবেন এই ব্যাপারে যা সহযোগিতা করা দরকার করব।’

 

Manual7 Ad Code

এ জন্য অর্থের প্রয়োজন করে অর্থমন্ত্রী ব্যবস্থা করবেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ সময় অর্থমন্ত্রীকে ক্যামেরায় দেখানোর অনুরোধ করেন।

 

তিনি বলেন, ‘আমি যা বলে যাচ্ছি অর্থমন্ত্রীকে সাথে রেখেই বলে যাচ্ছি। অর্থমন্ত্রীও আছেন। আমি মনে করি যে, মানুষের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করবার জন্য যা প্রয়োজন সেটা আমরা করতে পারব। যদিও আমি জানি করোনার কারণে আমাদের যথেষ্ট সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে, কিন্তু তার পরও আমরা এই ব্যবস্থাটা নেব।’

 

জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল তারা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ চায়নি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে সরকার গঠনের পর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের কিছু লোক যেন খাদ্য আমদানি করে নিজেরা ব্যবসা করতে পারে। কিন্তু আমি এটা স্পষ্ট বলতে চাই, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসা করতে আসেনি। জনগণের সেবা করতে এসেছি, সেবক হিসেবে এসেছি। কাজেই নিজেদের আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে চাই। কারও কাছে হাত পেতে আমরা চলতে চাই না। সেজন্য যেহেতু জাতির পিতা বলেছিলেন আমাদের মাটি আছে, মানুষ আছে। সেই মাটি, মানুষকে সম্বল করেই কিন্ত আমরা দেশের উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।

Manual5 Ad Code

 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ৫ বছর পর ২০০১ সালে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য গুদামে রেখে যায়। কিন্তু আবার ৮ বছর পর যখন সরকারে আসে, তখন ২৪ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। এটা হচ্ছে একটি দল বা ব্যক্তি বিশেষ, তারা যে ক্ষমতায় থাকে তাদের নীতির প্রশ্ন। আমাদের নীতিটা হচ্ছে সবসময় আমরা দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদাৃ নিজেরা উৎপাদন করবৃসেই সাথে সাথে পুষ্টি নিশ্চিত করার দিকেও আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি।

 

নিরাপদ খাদ্য শুধু পরীক্ষাই নয়, পাশাপাশি মানুষ কিভাবে সুষম খাদ্য গ্রহণ করবে তা প্রচার করে সচেতনতা আনতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

তিনি বলেন, দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। কৃষিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, কারণ বাংলাদেশ হচ্ছে কৃষিপ্রধান দেশ। আমাদের অর্থনীতি কৃষির উপর নির্ভরশীল। আর এই কৃষির সাথে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলতে চাই না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, নিজেদের খাবার নিজেদের উৎপাদন করতে হবে। নিজেদের পুষ্টি নিজেদের নিশ্চিত করতে হবে এবং সেটা আমরা নিজেরাই করব।

 

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে জনগণের জীবন-জীবিকা চালু রাখা ও অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।

 

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বক্তব্য রাখেন।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code