সর্বশেষ

» নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান-বাণিজ্য-মানবিক বিভাগ থাকছে না: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৯. নভেম্বর. ২০২০ | বৃহস্পতিবার

চেম্বার ডেস্ক:: নতুন কারিকুলামে নবম ও দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ থাকছে না, হবে সমন্বিত কারিকুলাম। এটি কার্যকর হবে ২০২২ সালে। জাতীয় সংসদে এমনটিই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। জাতীয় সংসদে ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থী একই বিষয়ের ওপর শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভিতকে মজবুত করবে। একাদশ শ্রেণি থেকে গ্রুপ বা বিভাগ ভিত্তিক লেখাপড়ার সুযোগ থাকবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক বিষয়বস্তু ৮ম শ্রেণিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, নবম-দশম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ডা. দীপু মনি আরও জানান, শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের ক্ষেত্রে তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে ঠিকানা অন্তর্ভুক্তকরণ এবং আইনটি আরও বিস্তৃত পরিসরে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সংসদে জানিয়েছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’-এ মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের মাধ্যমে ২১ লক্ষ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে মৌলিক সাক্ষরতা দেওয়া হবে। এরমধ্যে অর্ধেক নিরক্ষর নারীদের অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

এদিন নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, সাক্ষরতার হারে পুরষের চেয়ে নারীরা শতকরা ৫ ভাগ পিছিয়ে আছে। বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বয়স্কদের সাক্ষরতা বৃদ্ধি জরুরি। সে জন্য বয়স্কদের সাক্ষরতায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন জানান, নতুন জাতীয়করণ করা সরকারি প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে যথাক্রমে ২ হাজার ৪০০ ও এক হাজার ৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ উন্নয়নের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।

এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি বছর দেশে প্রাথমিক স্তরে ভর্তির হার ৯৭ দশমিক ৭৪ ভাগ। বিদ্যালয় গমনোপযোগী শতভাগ শিশুকে ভর্তির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে তাদেরকে পাঠদানে সম্পৃক্ত করতে ভর্তি করা হয়েছে।

এর ফলে দেশে বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী প্রায় শতভাগ শিশুকে ভর্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরও বিদ্যালয়ে অবস্থান নিশ্চিত করতে এ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণসহ ইনক্লুসিভ এডুকেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

Please continue to proceed