সর্বশেষ

» গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩০. জানুয়ারি. ২০২৩ | সোমবার

Manual4 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই গত তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  গণতান্ত্রিক ধারা না থাকলে দেশের উন্নয়ন হতো না বলে জানান তিনি।

আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের ১২টি প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  রাজধানীর রমনা পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ছিল বলেই উন্নয়নগুলো সম্ভব হয়েছে। এই ধারা না থাকলে এত উন্নত হতো না। আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা পরমাণু শক্তিতে যুক্ত হতে পেরেছি। এই পরমাণু দিয়ে আমরা বোমা বানাবো না, বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো।’

করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো যখন হিমশিম খাচ্ছে আমরা তারপরও আমাদের অর্থনীতির গতিধারা অব্যাহত রেখেছি। প্রবৃদ্ধি সাত ভাগ অর্জন করতে পেরেছি।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সাল হবে মন্দার বছর, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদেরা। আমাদের দেশে যেন এর ধাক্কা না লাগে সেজন্য এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে সে ব্যাপারে দেশবাসীর প্রতি আবারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া বিদ্যু-গ্যাস ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

Manual1 Ad Code

সরকার শুধু আর্তসামাজিক উন্নয়ন নয়, প্রাকৃতিক পরিবেশেরও উন্নয়ন করছে বলে জানান তিনি। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনভাতা ১২৩ ভাগ বাড়ানোর হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের বসবাসের জায়গাও আমরা নির্মাণ করে দিচ্ছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, শুধু ঢাকাকে কেন্দ্র করে সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনা করছে না। তৃণমূল পর্যায়েও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে বলে জানান তিনি।

পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ঘোষিত রাষ্ট্রপতি, অনির্বাচিত লোক দিয়ে কখনো দেশের উন্নতি হয় না।’

Manual4 Ad Code

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে, শোষিত-বঞ্চিত মানুষ যারা একবেলা ক্ষুধার অন্ন জোগাড় করতে পারতো না। এই বঞ্চনার হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া এবং বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে বিশ্বের দরবাহে মর্যাদা দেওয়াই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর এ দেশে ক্ষমতা বদল হয়েছে বন্দুকের নল দিয়ে। অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে, হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের যে গণতান্ত্রিক ধারা যে অব্যাহত হয়েছিল সেটা ব্যাহত হয়ে যায়। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং মার্শাল ল’ জারির করা; এটা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। আর সেই ধারায় ২১ বছর সরকার পরিচালিত হয়েছে। যার ফলে মানুষের যে উন্নয়ন এবং উন্নয়নের গতি ব্যাহত হয়েছিল।’

Manual1 Ad Code

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একদিকে যেমন তিনি (বঙ্গবন্ধু) ধ্বংস স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সীমিত সম্পদ নিয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। অপরদিকে সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রবৃদ্ধি প্রথম ৯ ভাগের ওপর অর্জিত হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আমলে ১৯৭৫ সালে। কিন্তু পঁচাত্তরের পরে সেই অগ্রগতি সম্পূর্ণ থেমে যায়।’

‘কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী; জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনা প্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। ঘোষিত রাষ্ট্রপতি, অনির্বাচিত লোক দিয়ে কখনো দেশের উন্নতি হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য। তাই ২১ বছরে উন্নয়নটা হতে পারেনি,’ বলেন শেখ হাসিনা।

Manual2 Ad Code

তিনি বলেন, ‘৯৬ সালে সরকারে আসার পর জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করেছি। জনগণের উন্নয়ন অন্তত আমরা করতে পেরেছিলাম। বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাক্ষরতার হার, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম।’

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code