সর্বশেষ

» বিএনপির আন্দোলনকে দমন করার একটা মাস্টারপ্ল্যান আঁকছেন শেখ হাসিনা: রিজভী

প্রকাশিত: ১১. নভেম্বর. ২০২২ | শুক্রবার

চেম্বার ডেস্ক:: ‘আগুন সন্ত্রাস’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আগুন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দমন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগও করেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দেশবাসী জানে আগুন সন্ত্রাসের হোতা কারা? আগুন সন্ত্রাস করেছে আওয়ামী লীগের লোক, আওয়ামী লীগের এমপি ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা। আগুন সন্ত্রাসের হোতা আওয়ামী লীগই।’

এর আগে গত রোববার এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি ২০১৩,১৪ ও ১৫ সালে অগ্নি সন্ত্রাস করে পেট্রল বোমা দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে আন্দোলনের নামে। এই সাধারণ মানুষের গায়ে কেউ হাত দিলে তাদের রেহাই নাই, তাদের রক্ষা নাই।’

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে ‘রহস্যজনক’ আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার মুখে আবারও আগুন সন্ত্রাসের কথায় জনগণ আতঙ্কিত। আবারও আগুন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করার একটা মাস্টারপ্ল্যান আঁকছেন শেখ হাসিনা। অগ্নি সন্ত্রাস শব্দটিকে আবারও নতুন করে ব্যবহারের মাধ্যমে বিএনপির ওপর চাপ প্রয়োগ করার কৌশল নেওয়া হচ্ছে।

রিজভী বলেন, ‍বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সরকার নিজেদের লোক ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে বাসে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়েছে। বর্তমানে আবার আগ বাড়িয়ে অগ্নি সন্ত্রাসের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলের আন্দোলন করার সময় আওয়ামী লীগ যে কাজটি করবে, সেটাই তারা এখন বলছে। এই কাজ আওয়ামী লীগ বহুবার করেছে। এখন আবার করবে তা আগেই বলে দিচ্ছে।

শনিবার ফরিদপুরে গণসমাবেশ পণ্ড করতে ক্ষমতাসীনরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ফরিদপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। গভীররাতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের বাসায় পুলিশ গিয়ে হুমকি দিচ্ছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

August 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031