- মুক্তি পেলেন সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান
- কানাইঘাটে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়
- সিলেটে ১০৯ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আটক ৩
- জামিন পেলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
- কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতির সাথে সিলেট মহানগর কৃষক দলের সাক্ষাৎ
- কানাইঘাটে ৩০টি মন্ডপে উদযাপিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা
- শেখ হাসিনা কোথায়, এবার জানালেন ভারতীয় কর্মকর্তারা
- চুক্তিতে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন শেখ আব্দুর রশিদ
- গ্রেফতারের দুই দিন পরই কারামুক্ত সাবের হোসেন চৌধুরী
- কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মীর আব্দুল্লাহ গ্রেফতার
» কানাইঘাট বড়চতুল ইউনিয়নে নৌকার কান্ডারী হতে চান জাকারিয়া আলম জামিল
প্রকাশিত: ২৯. অক্টোবর. ২০২১ | শুক্রবার
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে চতুর্থ দফায় কানাইঘাট উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের নির্বাচনের তফশিল ঘোষিত হতে পারে। এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তারমধ্যে কানাইঘাট ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী পরিবারের সন্তান বড়চতুল ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত, মোঃ জাকারিয়া আলম জামিল দীর্ঘদিন থেকে দলের তৃণমূল পর্যায়ে সর্বস্থরের নেতাকর্মীদের নিয়ে পুরো ইউনিয়ন জুড়ে সর্বস্থরের ভোটারদের নিয়ে মত-বিনিময়, উঠান বৈঠক সভা করে আসছেন। অত্যান্ত ক্লীন ইমেজের অধিকারী ঐতিহ্যগত ভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান জাকারিয়া আলম জামিলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে ভোটারদের মাঝে। দলের সর্বস্থরের নেতাকর্মীরাও চায় ৫নং বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বিতর্কিত কাউকে প্রার্থী না করে ভোটার ও নেতাকর্মীদের পছন্দের প্রার্থী জাকারিয়া আলম জামিলকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হলে এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত হবে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টে জাকারিয়া আলম জামিলকে দলের একজন পরিক্ষিত কর্মী, ক্লীন ইমেজের অধিকারী ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি ভোটার ও দলের নেতাকর্মীদের কাছে তার যোগ্যতা রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। জানা যায়, মোঃ জাকারিয়া আলম জামিলের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট হবিবুর রহমান (তুতা উকিল) সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্টাতা সভাপতি ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যান্ত আস্থাভাজন ব্যাক্তি ছিলেন হাবিবুর রহমান। ১৯৭০ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে সিলেট-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন হাবিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন হাবিবুর রহমান ও তার ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাজসেবী মুজিবুর রহমান (মানিক)। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এডভোকেট হাবিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু পুনরায় সিলেট-৫ আসনে প্রার্থী করলে তিনি বিজয়ী হন। এছাড়া জাকারিয়া আলম জামিল এর চাচাতো বোন এডভোকেট হাবিবুর রহমান এর মেয়ে রুবি ফাতেমা ইসলাম সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব থাকাকালীন সময় প্রায় ২বছর পূর্বে মারা যান। তার চাচা সমাজসেবী মুজিবুর রহমান মানিক একজন সমাজসেবী দানশীল ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তি হিসাবে সর্ব মহলে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। বড়চতুল ইউনিয়নের শিক্ষার উন্নয়ন সহ সমাজ সেবা মূলক কর্মকান্ডে জাকারিয়া আলম জামিলের পরিবারের অনেক অবদান রয়েছে বলে ইউনিয়নের সচেতন মহল জানিয়েছেন। জাকিয়া আলম জামিল এর পরিবারের আত্মীয়-স্বজন মিলে মহিলা সহ অন্তত ১৫ থেকে ১৬জন ১৯৭১ সালের রণাঙ্গণের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব পান। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালো রাত্রিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর সংবাদ শুনে শোক সইতে না পেরে হাবিবুর রহমান (তুতা উকিল) হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে এডভোকেট হাবিবুর রহমানের যে অবদান রয়েছে যা এখনো প্রবীণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্মরণ করেন। ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় চাচা সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান এর আদর্শের প্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতীতে জড়িয়ে পড়েন ৫নং বড়চতুল ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাকারিয়া আলম জামিল। বড়চতুল ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, উপজেলা সেচ্ছা সেবক লীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব অত্যান্ত সফলতার সহিত পালন করেন তিনি। বড়চতুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠন গুলোকে শক্তিশালী করার জন্য মাঠে-ময়দানে কাজ করেন জাকারিয়া আলম জামিল। ২০১৫ সালে ইউনিয়নের সর্বস্থরের নেতাকর্মীদের অনুরোধে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে তরুন সমাজকর্মী আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ জাকারিয়া আলম জামিল প্রার্থী হলে তৃর্ণমুলের ভোটে সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর পর থেকে বড় চতুল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত সহ বিপদে-আপদে দলের নেতাকর্মীদের পাশে দাড়ানোসহ সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থেকে ইউনয়নবাসীর আত্মসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে উপজেলার মধ্যে মান সম্পন্ন প্রতিষ্টান দুর্গাপুর কিল্ডার গার্ডেন স্কুল ২০০৬ সালে প্রতিষ্টা করেন জাকারিয়া আলম জামিল। এ প্রতিষ্টান থেকে লেখাপড়া করে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থী বিভিন্ন ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আসন্ন বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাকারিয়া আলম জামিল এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তার প্রায়ত চাচা এডভোকেট হাবিবুর রহমান তোতা উকিল দুইবারের আওয়ামী লীগ সমর্থিত সংসদ সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি ছিলেন। ঐতিহ্যগত ভাবে তার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। চাচার মত মানুষের সেবা করার জন্য তিনি ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় সামাজিক অঙ্গণের সাথে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে তিনি মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে চান। সেই লক্ষে দলের সর্বস্থরের নেতাকর্মীদের অনুরোধে তিনি নির্বাচন করার জন্য এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের পরিবারের একজন প্রকৃত সন্তান হিসাবে তার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী লীগের জন্য যে অবদান রয়েছে সেটি মূল্যায়ন করে তাকে বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড নৌকা প্রতীক উপহার দিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে, অঙ্গীকার গ্রাম হবে শহর তা বড়চতুল ইউপিতে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবেন বলে জাকারিয়া আলম জামিল জানিয়েছেন।
সর্বাধিক পঠিত খবর
- কানাইঘাটে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত, গ্রেফতার-১
- ফের বাংলাদেশ থেকে ব্রিটিশ ভিসা দেওয়া শুরু, রয়েছে নানা শর্ত
- আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি মাহফুজের, ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম
- কানাইঘাটে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে আহত,থানায় অভিযোগ দায়ের
- কানাইঘাটে ৫০ উর্ধ্ব মহিলার যৌন হেনেস্থার ভিডিও যে ভাবে ধারণ করে বখাটেরা