একনেকে সাড়ে ৩৭ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৮. ফেব্রুয়ারি. ২০২২ | মঙ্গলবার

Manual4 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের মধ্যে ৭টি নতুন ও ৪টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।

Manual1 Ad Code

আজ মঙ্গলবার সকালে কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

Manual5 Ad Code

আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন একনেকের চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে এ চূড়ান্ত হিসাব জানানো হয়। করোনাকালেও এই অসাধারণ অর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- মোংলা কমান্ডার ফ্রোটিলা ওয়েস্টে (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন প্রকল্প। আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চারলেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্প। বাংলাদেশের ১০টি অগ্রাধিকারভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রকল্প। ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসনকরণ প্রকল্প। ঢাকার আজিমপুরের মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য হোস্টেল/ডরমিটরিটরি নির্মাণ, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এর প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ, গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন এবং স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি (পাইলট) প্রকল্প।

Manual8 Ad Code

পরে আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, দেশে তিনশটির বেশি শহর রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি শহরের আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৫৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শহর থেকে দূরে করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থ স্বাস্থ্য জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (চতুর্থ এইচপিএনএসপি) প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়েছে। এটির মূল ব্যয় ছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৪৮৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এখন প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ৩০ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ও এর অধীনস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এটি কোনও একক প্রকল্প নয়, অনেকগুলো প্রকল্পের সমষ্টি।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৪১৬ বিলিয়ন ডলার। এর আগে সাময়িক হিসাবে জিডিপির আকার বলা হয়েছিল, ৪১১ বিলিয়ন ডলার। আর মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২৫৯১ ডলার।

Manual5 Ad Code

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code