সর্বশেষ

সিলেটে অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে স্ত্রীকে ফেরাতে না পেরে হত্যা

প্রকাশিত: ২৫. নভেম্বর. ২০২০ | বুধবার

Manual4 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন নাজির উদ্দিন ও রেহেনা বেগমকে। বছরখানেক পর তাদের সংসারে সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এবং সংসারের চাকা সচল রাখতে রেহেনা (২২) বিদেশে পাড়ি দেন।

Manual5 Ad Code

 

Manual5 Ad Code

কিন্তু বিদেশে গিয়ে তিনি বদলে যান। বছরখানেক পর দেশে ফিরে শুরু করেন বেপরোয়া চলাফেরা। অসৎ পথ থেকে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে না পেরে নাজির (২৫) দুনিয়া থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পানিতে চুবিয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর সে পালিয়ে যায়।

 

মঙ্গলবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নাজির এমন বর্ণনা দেন।

 

Manual5 Ad Code

আদালত সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ইন্তাজপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নাজির তিন-চার বছর আগে দোয়ারাবাজারের মনোয়ারা বেগমের মেয়ে রেহেনাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। স্বামীকে রাজি করিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি দেন রেহেনা। বছরখানেক পর দেশে ফিরে শুরু করেন বেপরোয়া চলাফেরা। বিদেশে কামানো টাকাও স্বামীর হাতে দেননি। স্ত্রীকে অসৎ পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে না পেরে নাজির সিদ্ধান্ত নেন রেহেনাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার।

 

পরিকল্পনা অনুযায়ী ৮ নভেম্বর নিজের কর্মস্থল সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালার গাঁওয়ে চলে আসেন। রেহেনাকে ফোন দিলে সে বলত আমার আশা ছেড়ে দাও আমি আর তোমার নই।

 

পাশে থাকা পুরুষের হাতে মোবাইল ফোন দিয়ে সে বলত- কথা বলে দেখ আমি কার সঙ্গে আছি। দিন দিন স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন নাজির। এরইমধ্যে ১২ নভেম্বর নাজিরের কাছে কিছু টাকা চায় রেহেনা। টাকা দেয়ার আশ্বাস দেন নাজির। টাকা দেয়ার পাশাপাশি নিজের কর্মস্থল দেখিয়ে দেবেন বলে ১৩ নভেম্বর সিলেটে রেহেনাকে তিনি আসতে বলেন। সন্ধ্যায় নাজিরের কাছে পৌঁছেন রেহেনা। নিজের কর্মস্থলে গিয়ে টাকা জোগাড় করে দেয়ার কথা বলে দক্ষিণ সুরমার লালার গাঁওয়ের উদ্দেশে তারা রওনা হন।

 

Manual5 Ad Code

সিএনজি (অটোরিকশায়) থাকাকালে রেহেনার মোবাইল ফোনে এক লোকের ফোন আসে। ওই লোক রেহেনা কোথায় আছে জানতে চায়। বলে তোমাকে টাকা দিলাম তুমি চলে গেলে কেন? কখন আসবে? সে জানায়, একটি কাজে সিলেট এসেছি, কাজ শেষ করে চলে আসব। ফোনের কথাবার্তা শুনে নিজেকে আর সামাল দিতে পারেনি নাজির। সিএনজি অটোরিকশা থেকে নেমে রাস্তার পাশের খালের পানিতে রেহেনা চুবিয়ে হত্যা করে নাজির। এরপর সে পালিয়ে যায়। ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে রেহেনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

রেহেনার মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করলে পুলিশের পাশাপাশি মামলাটি ছায়া তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চট্টগ্রাম থেকে ২২ নভেম্বর নাজিরকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

 

মঙ্গলবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক সাইফুর রহমানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন নাজির।-দৈনিক যুগান্তর

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code