সর্বশেষ

» বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সৈকত ও পর্যটন কেন্দ্র হবে কক্সবাজার : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৯. আগস্ট. ২০২১ | রবিবার


Manual5 Ad Code

চেম্বার ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সমুদ্র সৈকত এবং পর্যটন কেন্দ্র। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময়। তাই বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের একটা কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করতে চাই।

 

আজ রোববার (২৯ আগস্ট) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

শেখ হাসিনা বলেন, সার্বিকভাবে ভৌগলিক অবস্থানটাকে সামনে রেখে সারাবিশ্বের সাথে যোগাযোগের একটা কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করতে চাই আমাদের দেশটাকে। তাতে আর্থিকভাবেও আমাদের দেশ অনেক বেশি লাভবান হবে।

Manual7 Ad Code

 

Manual1 Ad Code

বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ বিশ্ব যোগাযোগের কেন্দ্র বিন্দু হলেও আগামীতে বাংলাদেশ সেই কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হবে।

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত এবং পর্যটনের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, অনেক চিন্তা ও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে এবং কক্সবাজার নিয়ে তো আরও বেশি। কক্সবাজার হবে বিশ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ সি বিচ এবং পর্যটন কেন্দ্র এবং অত্যন্ত আধুনিক শহর। সেইভাবে পুরো কক্সবাজারটাকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ করবো।

Manual5 Ad Code

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারকে ঘিরে সরকারের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে। সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের আদলে সাজানো হবে কক্সবাজারকে। ইকোট্যুরিজমের কাজ চলমান রয়েছে, রেললাইনও আসছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলে দিন-রাত ফ্লাইট চলবে। এসব দৃশ্যমান হলেই কক্সবাজার বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।

 

কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রানওয়ে সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমি মনে করি‑ যে ওয়াদা জনগণের কাছে দিয়েছিলাম সেখানে আরও একটা ধাপ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

 

তিনি বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে এই যে জলভাগের ওপর আমরা একটা রানওয়ে নির্মাণ করছি সেটাও দৃষ্টিনন্দন হবে এবং অনেকে এটা দেখতে যাবে। তিনি জলভাগের ওপর এই রানওয়ে নির্মাণের সাহস নিয়ে কাজ শুরু করতে যাওয়া সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

 

যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন রুটে বিমানের ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার কথা জানান সরকার প্রধান।

 

বিমানের সেবা বাড়াতে এবং এর আধুনিকায়নে সংশ্লিষ্টদের সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন,  বাংলাদেশকে নিয়ে জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল সে স্বপ্ন যেন আমরা পূরণ করতে পারি। আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে রূপকল্প ঘোষণা করেছিলাম‑ ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, সেখানে আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। এটাকে ধরে রেখে আমাদের উন্নত দেশের পথে এগিয়ে যেতে হবে এবং ইনশাল্লাহ আমরা সেটা করতে পারবো।

 

তিনি বলেন, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বালুকাময় সমুদ্রসৈকতে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ‘স্পেশাল জোন’ করা হবে। যেখানে শুধু বিদেশিরা আসতে ও যেতে পারবেন। তারা যেন তাদের মতো করে সবকিছু উপভোগ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নে অনেক চিন্তা-পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে, আর কক্সবাজার নিয়েতো আরও বেশি। কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সি-বিচ, পর্যটন কেন্দ্র এবং অত্যান্ত আধুনিক শহর। সেভাবেই পুরো কক্সবাজার শহরকে উন্নত-সমৃদ্ধ করবো।

 

বিমানবন্দরটির প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে ১০ হাজার ৭০০ ফুট রানওয়ে হবে। যা রাজধানীর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের (১০ হাজার ৫০০ ফুট) চেয়েও বেশি। এর ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বোয়িং ৭৭৭ ও ৭৪-এর মতো বড় আকারের বিমানগুলো এই বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে এবং এর ফলে এখানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করার পথ সুগম হবে। এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দর যাত্রা শুরু করবে।

 

ভিডিও কনফারেন্সে কক্সবাজার থেকে যুক্ত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।

 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি)’র চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

 

অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এভিয়েশন অগ্রগতি সম্পর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

 

Manual3 Ad Code

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ে রয়েছে। এটি ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে এই রানওয়ে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর, ৭৪৭-৪০০ ও এয়ারবাসের মতো উড়োজাহাজ সহজেই ওঠানামা করতে পারবে। প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার পুরোটাই অর্থায়ন করছে বেবিচক।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code