সর্বশেষ

» ‘ক্ষমতাসীনদের নেতৃত্বে’ ভারতীয় চিনি চোরাচালান

প্রকাশিত: ১৪. ফেব্রুয়ারি. ২০২৪ | বুধবার

এটিএম তুরাবঃ ভারতীয় চোরাই চিনি চালানের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা। বড় বড় অভিযানেও থামছে না চিনি চোরাচালান। প্রতিদিন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসছে শত শত বস্তা চোরাই চিনি।কোনভাবেই থামছে না চোরাচালান।

অভিযোগ রয়েছে,চিনি পাচার চালানের সঙ্গে স্থানীয় সরকারদলীয় নেতাকর্মী,সীমান্তরক্ষী বাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনেরও যোগসাজশ রয়েছে। এ কারণে বন্ধ হচ্ছে না চোরাচালান।

সূত্র মতে,জেলার কানাইঘাট,গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী শতাধিক স্থান দিয়ে চোরাই পণ্য সিলেটে প্রবেশ করে। সীমান্ত এলাকার অন্তত এক হাজার চোরাকারবারি এই কাজে জড়িত। এদের সিংহভাগই বিয়ানীবাজার উপজেলার। মাঝে মাঝে বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় চোরাই চিনি আটকের খবর পাওয়া গেলেও পাচারের তুলনায় তা খুবই কম বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ,বিয়ানীবাজার উপজেলার একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য এই বৃহৎ চোরাচালান চক্রের সাথে জড়িত।

গত বছরের ১৩ মে বিয়ানীবাজারের নওয়াগ্রাম সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার এবং চিনি চোরাচালান বিষয়ে ‘নিউজ চেম্বার ২৪ ডট কম’ একটি তথ্যবহুল অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ৷ সেসময় এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বিয়ানীবাজারের নওয়াগ্রাম সীমান্ত এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান জানিয়েছিলেন,সীমান্তে তার চোখের সামনেই অনেক কিছু ঘটে। তিনি প্রাণনাশের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেন না।তবে তিনি জানেন যে,সরকারী দলের স্থানীয় নেতা সাব্বির আহমদ,আব্দুল ওয়াহিদ তারেক,ছাত্রলীগ নেতা কাওছার আহমদ ও সুহেল সহ ৮/১০ জন মাদক ও চিনি চোরাচালানের সাথে জড়িত। প্রশাসনের যোগসাজসে সীমান্তে এসব অপরাধ হয় বলেও দাবী তার।

গত ১৩/০৫/২০২৩ মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের উদৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তা ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। তবে এর রেষ ধরে হুমকি এবং মামলার শিকার হতে হয়েছে মোঃ সাহিদুজ্জামানকে। এমনকি সরকারদকীয় নেতাদের বিরুদ্ধে এই ‘স্পর্ষকাতর’ মন্তব্যের জেরে তাকে কারাগারেও আটক করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

তাই,চিনি চোরাচালান নিয়ে এবার তার কাছে তথ্য জানতে চাইলে তিনি ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি৷

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930