সর্বশেষ

» চুক্তিতে আরও ছয় মাস শ্রম সচিব থাকছেন সিলেটের এহছানে এলাহী

প্রকাশিত: ২৩. নভেম্বর. ২০২৩ | বৃহস্পতিবার

চেম্বার ডেস্ক: আগামী ছয় মাস চুক্তিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকছেন মো. এহছানে এলাহী। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এ আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।আগামী ২৫ নভেম্বর তার সরকারি চাকরির বয়স শেষ হবে। এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৯ অনুযায়ী, এহছানে এলাহীর অবসর-উত্তর ছুটি ও সংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিতের শর্তে আগামী ২৬ নভেম্বর অথবা যোগদানের তারিখ থেকে ছয় মাস মেয়াদে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো।এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। আগামী ২৫ নভেম্বর তার সরকারি চাকরির বয়স শেষ হবে।২০২১সালের ১৬ আগস্ট মো. এহছানে এলাহীকে সরকার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পূর্বে তিনি ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব), ​​বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১), সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ-এর আওতাধীন বিআরটিসি-এর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) পদে কর্মরত ছিলেন।

১৯৯১ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে (১০ম বিসিএস) সহকারী কমিশনার ও ৩য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নীলফামারী জেলায় প্রথম যোগদানের পর সেখানে তিনি প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে নীলফামারী সদরে দায়িত্ব পালন করে। ১৯৯৫ সালে সহকারী সচিব হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আইএমইডি’তে যোগদান করেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সহকারী সচিব হিসেবে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তৎকালীন জাতীয় সংসদ স্পীকার মরহুম হুমায়ুন রশিদ চৌধূরীর তত্ত্বাবধানে ডেলিগেশন শাখার দায়িত্বে থেকে আইপিইউ ও সিপিএ’র যাবতীয় কাজসহ সকল প্রটোকল ব্যবস্থাপনা দেখেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণায়ের পরিকল্পনা বিভাগের সচিবের পিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬-২০০৮ সাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮-২০১৩ সাল পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাঃ), জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক থাকা অবস্থায় উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০১৩ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ‘চীফ এস্টেট অফিসার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণায়ের অধীন ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের’ পরিচালক হিসেবে কিছুদিন কাজ করেন। তারপর ২০১৩ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজউকের সচিব ও পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষ করে ২০১৪ সালের জানিুয়ারি মাসে গাইবান্ধা জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। জেলা প্রশাসক থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের যুগ্মসচিব হিসেবে পদোন্নতি পান এবং পূর্ণ দেড় বছর জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষ করে ০১ জুলাই ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশ সরকারের যুগ্মসচিব হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে যোগদান করেন। এরপর ২৯ আগস্ট ২০১৮ তারিখে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন এবং ৩০ আগস্ট ২০১৮ হতে ২৫ আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত অতিরিক্ত সচিব পদে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সংযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।

মোঃ এহছানে এলাহী মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পরীক্ষা পাশ করেন। ১৯৮২ সালে সিলেট সরকারি কলেজ (বর্তমানের এমসি কলেজ, সিলেট) থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পরক্ষিায় পাশ করার পর ১৯৮২-৮৩ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিএসসি (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৮৫ সালে বিএসসি (সম্মান) এবং ১৯৮৬ সালে এমএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে ২০০৫- ২০০৬ সালে একটি স্কলারশীপ নিয়ে লন্ডন ইউনিভার্সিটির অধিীনে MS (PH) ডিগ্রি লাভ করেন।

বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারী এ কর্মকর্তা দেশে-বিদেশে বহু প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। বিশেষ করে বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও শিক্ষা সফরে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধে হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ভারত, থাইল্যান্ড, সিংঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, লাওস, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, কানাডা, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং ইউএসএ’সহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। এছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছেন।

মোঃ এহছানে এলাহী সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার তিনসতী নয়াগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম মোঃ আব্দুল লতীফ (অবঃ অধ্যক্ষ, আঞ্চলিক সমবায় শিক্ষায়তন, মৌলভীবাজার) এবং মাতা মরহুম শামসুন নাহার। তাঁর সহধর্মিনী সৈয়দা ফেরদৌসী বেগম। পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের গর্বিত জনক।

[hupso]

সর্বশেষ