সর্বশেষ

» ৩ জনকে অভিযুক্ত করে ফেঞ্চুগঞ্জের আলোচিত মালা চন্দ্র দাস ধর্ষণ মামলার চার্জশীট

প্রকাশিত: ০২. জানুয়ারি. ২০২৩ | সোমবার

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা দিপন চন্দ্র দাসের মেয়ে মালা চন্দ্র দাস অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার চার্জশীট (চুড়ান্ত প্রতিবেদন) দাখিল করেছে পুলিশ। আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় এসআই মোঃ ওয়াসিম আল বারী আজ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে সিলেট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আদালত এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়,সুলতানপুর গ্রামের সাহিদুর রহমান নামে এক যুবক ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর মালা চন্দ্র দাসকে অপহরণ করে,বিয়ের প্রলোভনে তার নিকটাত্বীয়ের বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। সাহিদুর রহমান উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার,ইউনিয়ন বিএনপির কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য জলিলুর রহমানের পুত্র।

এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় সাহিদুর রহমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৭/৩০/৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন মালা চন্দ্র দাশের পিতা দিপন চন্দ্র দাস।

মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাহিদুরের আত্বীয়ের বাড়ি থেকে মালা চন্দ্রকে উদ্ধার করে। মূল অপহরণকারী সাহিদুর এসময় পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াসিম আল বারী জানান,নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে অপহরণ ও ধর্ষণের এ ঘটনায় সাহিদুর রহমান এবং তার ২ সহযোগি সহ মোট ৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অপর দু’জন হলো সুলতানপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র ইকবাল আহমদ (২৬) এবং হুমায়ুন আহমদের পুত্র কয়ছর আহমদ। ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পলাতক।

ওয়াসিম আল বারী জানান,আদালত চার্জশীট গ্রহণ করে পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

পুলিশ আরো জানায়,এ মামলার পলাতক আসামী সাহিদুরের রহমান একটি হত্যা মামলারও আসামী। সে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল দায়ের হওয়া জুয়াইদ আলী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে তার বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক জারী হওয়া গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য ইমিগ্রেশনে পরোয়ানা পাঠিয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে সোর্স নিয়োগ করেছে।

এদিকে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী দিপন চন্দ্র দাস। তিনি বলেন,’প্রধান আসামী সাহিদুর তার বন্ধুদের সহযোগিতায় আমার মেয়েকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। পুলিশের তদন্তেও তাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণ হয়েছে। এখন আমার দাবী আসামীদেরকে খুঁজে বের করা। আশাকরি পুলিশ তাদেরকে আটক করতে আরো তৎপর হবে।’

[hupso]

সর্বশেষ