সর্বশেষ

» বড়লেখায় হত্যার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বৃদ্ধ খুন।। বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে মামলা,আটক ১

প্রকাশিত: ২৩. মে. ২০২২ | সোমবার

বড়লেখা সংবাদদাতাঃ বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চান্দগ্রামে অগ্নিকান্ডে রেস্টুরেন্ট কর্মচারী নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। আজ দুপুরে চান্দগ্রাম বাজারের ‘মুন্নি রেস্টুরেন্টে’ এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত বৃদ্ধের নাম হাজি পংকি মিয়া (৫৫)। তিনি চান্দগ্রাম এলাকার মৃত আনফর মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় থানায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী,মুন্নি রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী সমছ উদ্দিনকে আটক করেছে। এবং তার ছেলে আকবর হোসেনকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত ২১ মে চান্দগ্রাম বাজারের মুন্নি রেস্টুরেন্টের রান্না ঘরে আকস্মিক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে রেস্টুরেন্ট কর্মচারী সেলিম উদ্দিন (২৬) মারা যায়।

নিহত সেলিম চান্দগ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হাজি বাবুল এবং হাজি পংকি মিয়ার খুবই ঘনিষ্ট হিসেবে সে পরিচিত ছিল।

সেলিম উদ্দিনের পরিবার শুরু থেকেই এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকান্ড’ বলে অভিযোগ করে আসছে। কিন্তু,রেস্টুরেন্ট মালিকের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

এ অবস্থায় আজ দুপুরে অভিযুক্ত রেস্টুরেন্ট মালিকের সাথে কথা বলতে নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ময়নুল হক,হাজি বাবুল,হাজি পংকি মিয়া সহ কয়েকজন রেস্টুরেন্টে গমন করেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী ও তার ছেলের সাথে প্রতিবাদকারীদের সংঘর্ষ বাধে। এ সংঘর্ষে হাজি পংকি মিয়া গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মুন্নি রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী সমছ উদ্দিন ও তার ছেলে,সাবেক ছাত্রদল নেতা আকবর হোসেনের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে।

একটি মামলার বাদী হয়েছেন নিহত হাজি পংকি মিয়ার ভাই হাজি বাবুল মিয়া। ২য় মামলাটি করেছেন নিহত রেস্টুরেন্ট কর্মচারী সেলিম উদ্দিনের বাবা রফিক উদ্দিন। উভয় মামলায় সমছ উদ্দিন এবং তার ছেলে,নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেনকে আসামী করা হয়েছে।

পুলিশ গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মামলার প্রধান আসামী সমছ উদ্দিনকে আটক করেছে। তিনি একই এলাকার কুতুব আলীর ছেলে।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান জানান,পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে থানায় হত্যার অভিযোগে ২ টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামীকে আটক করা হয়েছে। ২ নং আসামী আকবর হোসেনকেও আটকের চেষ্টা করা হয়েছে।সে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে আটকে পুলিশের অভিযান চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, মুন্নি রেস্টুরেন্টের মালিক ও তার ছেলে পরিকল্পিতভাবে রেস্টুরেন্টে আগুন লাগিয়ে তাদের ১ জন কর্মচারিকে হত্যা করেছে বলে আমরা সন্দেহ করছিলাম। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পর তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় আওয়ামীলীগ নেতা হাজি পংকি মিয়া নিহত হয়েছেন। এ দু’টি ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা আশাকরি,পুলিশ পলাতক আসামীদেরও আটক করে বিচারের মুখোমুখি করবে।’

[hupso]

সর্বশেষ