সর্বশেষ

» কানাইঘাটে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা: স্বামীসহ শাশুড়ীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ২৬. ফেব্রুয়ারি. ২০২২ | শনিবার

কানাইঘাট প্রতিনিধি:
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে গত মঙ্গলবার যৌতুকের জন্য ৩ সন্তানের জননীকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় কানাইঘাট থানায় স্বামী সহ শাশুড়ীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত জুলফা বেগম চৌধুরী (২৯) এর ভাই স্থানীয় তালবাড়ী কোনা গ্রামের মাহমুদুর রহমান চৌধুরীর ছেলে আহমদ চৌধুরী বাদী হয়ে তার বোন জামাই ফতেহপুর গ্রামের মৃত মুহিবুর রহমানের ছেলে আবুল হাসান ফাহিম (৩৫) ও তার মা রাশিদা বেগম (৫৫) কে আসামী করে থানায় গত বৃহস্পতিবার অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা পেয়ে ১১(ক)/৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ধারায় অভিযোগটি এফআইআর করে। থানার মামলা নং-১৯, তাং-২৪/২/২২ইং। মামলার সূত্রে জানা যায় যৌতুকের জন্য বিবাহের পর থেকে ৩ সন্তানের জননী জুলফা বেগমকে চৌধুরীকে প্রায়ই তার স্বামী আবুল হাসান ফাহিম তার মায়ের প্ররোচনায় অমানসিক নির্যাতন করত। দাবী অনুযায়ী কয়েকবার পিত্রালয় থেকে যৌতুক বাবত অনেক টাকা স্বামীকে এনে দেন জুলফা বেগম। স্বামীর অমানসিক নির্যাতনের কারনে একবার জুলফা বেগমকে বাড়ীতে নিয়া আসেন তার পিতা মাহমুদুর রহমান চৌধুরী। পরে স্বামী আবুল হাসান ফাহিম স্ত্রীকে আর নির্যাতন কিংবা যৌতুক চাহিবে না অঙ্গীকার করে স্ত্রীকে তার বাড়ীতে নিয়ে আসে। সর্বশেষ গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে পুনরায় মোটা অংকের যৌতুকের জন্য আবুল হাসান ফাহিম তার মা রাশিদা বেগমের প্ররোচনায় স্ত্রী জুলফা বেগমকে শারীরিক ভাবে অমানসিক নির্যাতন শুরু করলে তার মাকে মোবাইল ফোনে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করার জন্য বলেন। সকাল ১০টার দিকে জুলফা বেগমের পরিবারের কয়েক সদস্য স্বামীর বাড়ীতে গিয়ে একটি চাঁদর দ্বারা ঢাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে সাথে সাথে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর পরই আবুল হাসান ফাহিম ঘা ঢাকা দিয়েছে। জুলফা বেগমের লাশের ময়না তদন্তের পর দাফন করা হয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি প্রথমে কানাইঘাট থানা পুলিশকে অবহিত করার পর গত বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দাখিলের পর মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ। জুলফা বেগম চৌধুরীর হত্যা মামলার পলাতক আসামী তার স্বামী আবুল হাসান ফাহিম ও তার মা রাশিদা বেগমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যা”েছ বলে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

[hupso]

সর্বশেষ