সর্বশেষ

» একনেকে অনুমোদন পেল কুমারগাঁও-এয়ারপোর্ট চার লেন সড়ক প্রকল্প

প্রকাশিত: ০৪. জানুয়ারি. ২০২২ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্ক:: 

সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ককে জাতীয় মহাসড়ক মানে চার লেনে উন্নীতকরণসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ২১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১০ হাজার ৭১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৪৯৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়কগুলো উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য লজিস্টিক্স ও ফ্লিট মেইনটেন্যান্স ফ্যাসিলিটিস গড়ে তোলা।কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ককে জাতীয় মহাসড়ক মানে চার লেনে উন্নীতকরণ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের কেন্দ্রীয় সম্প্রচার ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, ডিজিটালাইজেশন ও অটোমেশন প্রকল্প। মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প।

এছাড়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প। বরগুনা জেলার অধীন পোল্ডার ৪৩/১ ও ৪৪বি পুনর্বাসন এবং ঝুঁকিপূর্ণ অংশ পায়রা নদীর ভাঙ্গন হতে প্রতিরক্ষা প্রকল্প। কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় ব্রক্ষ্মপুত্র নদের ডানতীর ভাঙনরোধ প্রকল্প। পাটবিষয়ক মৌলিক ও ফলিত গবেষণা প্রকল্প ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল, মীরসরাই প্রথম পর্যায় প্রকল্প। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগমসহ পরিকল্পনা কমিশনের অন্য সদস্যরা। সিলেটের সড়কের এই প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ায় এখন সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর কাজ শুরু করবে। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পে কাজ শেষ হওয়ার কথা।

দুই লেনের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটি ২০১২-১৪ অর্থ বছরে নির্মাণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে পাথরবাহী ট্রাক চলাচল, বিদেশ যাত্রীদের সুবিধা ও পর্যটকদের কথা চিন্তা করে সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার দাবি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। পরের বছর চার লেন সড়কের সাথে দুটি সার্ভিস লেন যুক্ত করে তৈরি করা হয় সংশোধিত প্রস্তাবনা। ২০১৯ সালের দিকে শুধুমাত্র চার লেনের প্রস্তাবনা জমা পড়ে মন্ত্রণালয়ে।

পরে পররাষ্টমন্ত্রী হয়ে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নেন। তারই প্রচেষ্টার ফলে ২০২০ সালের ৮ আগস্ট সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সড়কটি পরিদর্শন করে যান। সড়কটির বাস্তব অবস্থা ও আগের প্রস্তাবিত নকশা পর্যবেক্ষণ করে প্রতিনিধি দল। তবে প্রস্তাবিত চার লেনের নকশায় ত্রুটি থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রতিনিধি দলের প্রধান সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের তৎকালীন যুগ্ম প্রধান জাকির হোসেন। তিনি দ্রুত অভিজ্ঞ সার্ভেয়ার দল নিয়োগ করে ডিজিটাল সার্ভে (টিবিএম) দিয়ে সংশোধিত নকশা তৈরি করতে সওজ সিলেট কার্যালয়কে নির্দেশ দেন।

সূত্র জানিয়েছে, কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক চার লেন করার বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে একটি প্রস্তাবনা আসে। ওই বছরের ২৫ আগস্ট প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে আসা সুপারিশগুলো প্রতিপালন করার পর সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি একনেকের বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করেছে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পে উল্লেখ করা হয়েছে, কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াতে প্রধান ও একমাত্র বিকল্প পথ। বাদাঘাট লিংক রোডসহ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ৭৮০ কিলোমিটার এবং বিদ্যমান প্রস্থ পাঁচ দশমিক ৫০ মিটার।

[hupso]

সর্বশেষ