সর্বশেষ

» কানাইঘাটে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত, আহত ২০

প্রকাশিত: ১৩. আগস্ট. ২০২১ | শুক্রবার

কানাইঘাট প্রতিনিধি: সিলেটের কানাইঘাটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কানাইঘাট বাজারের ডাক বাংলো প্রাঙ্গনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আব্দুল কাহির (২০) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী মারা যান। তার বাবার নাম নূর উদ্দিন,বাড়ি কানাইঘাট সদর ইউপির বড়দেশ গ্রামে। এ সময় উভয় পক্ষের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দুই দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আব্দুল কাহিরের পিতা নূর উদ্দিন বাদী হয়ে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি দেলওয়ার হোসেন, ছাত্রদল নেতা মুস্তাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা কামরুল
ইসলাম,ওহিদুজ্জামান,শহিদুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, ছালিম আছলাম, জিল্লুর রহমান, রুহুল আমিন, তোফায়েল আহমদ, সাজ্জাদুর রহমান, তানিম আহমদ,ছাত্রদল নেতা রামিম আহমদ,জামিল আহমদ নাসিম, এম ওয়াহিদ চৌধুরী,আব্দুল্লাহ ও সাদ উল্লাহ।

জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কানাইঘাট বাজারে গতকাল পূর্ব নির্ধারিত একটি পথসভা ছিল। এ সময় পাল্টা পথসভার ঘোষণা দেয় কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ। বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে উভয় দল মিছিল শুরু করলে ডাক বাংলো প্রাঙ্গনে যাবার পর দু’দল মুখোমুখি হয়ে যায়।
কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশিদ বলেন, বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত পথসভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন হামলা করে। এতে বিএনপির ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান।

তবে কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় কানাইঘাট বাজারে বিএনপির লোকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রনেতা আব্দুর কাহির গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কানাইঘাট থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ। ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল কাহিরের মৃত্যুের ঘটনায় মামলা হয়েছে, আমরা আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছি।

[hupso]

সর্বশেষ