সর্বশেষ

» জৈন্তাপুরে টমেটো চাষে সফলতার আশা আকছির মিয়ার

প্রকাশিত: ১৬. মার্চ. ২০১৮ | শুক্রবার

সাইফুল আলম::জৈন্তাপুরে রবি মৌসুমে টমেটোর আবাদে সফলতার আশা করছেন উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের আকছির মিয়া।

এই মৌসুমী সব্জি চাষি চলতি মৌসুমে তার নিজস্ব ৫০ শতাংশ জমিতে টমেটোর আবাদ করেছেন। এতে চাষাবাদ, বীজ, সার ও পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা। সে মোহাবির জাতের টমেটোর চারা রোপন করেণ গেল কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহে। ইতিমধ্যে টমেটো পাকতে শুরু করেছে। ২/৩ দিনের মধ্যে বাজারজাত করা যাবে।

টমেটোর আাবাদের পাশাপাশি তিনি জমিতে সাথী ফসল হিসাবে লালশাক বপন করে এরই মধ্যে ১৭ হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছেন। জমির চারপাশের বেড়ায় লাগিয়েছেন ঝিঙ্গা, করলা। যেখান থেকে এ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ১১ হাজার টাকার মতো। টমেটো এখনও বাজাজাত করা হয়নি। তবে ফলন ভাল হয়েছে। টমেটো আধা পাকা হলেই পাখি তা খেয়ে ক্ষতি করছে। তাই পাখির উৎপাত থেকে টমেটো রক্ষায় জমিতে নেট দিয়ে মুড়ে দিচ্ছেন তিনি। এতে খরচ হয়েছে বাড়তি ৮ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে আকছির মিয়া জানান, আমি প্রতি বছরের ন্যয় এ বছরও টমেটো আবাদ করেছি। বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। তবে পাখির উৎপাতে বাড়তি খরচ হওয়ায় মুনাফা কম যাবে।

তিনি জানান, ‘ঠিক মতো বাজারজাত করতে পারলে লক্ষাধিক টাকার বেশী টমেটো বিক্রির আশা করছি। এতে আমার বেশ মুনাফা হবে। টমেটোর চাষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমাকে সহযোগিতা করছে।’

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জৈন্তাপুরে ১২২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্নরকম শাকসবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে চাষ আরও বেশী হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণবিদ জ্যোতি লাল গোপ জানান, ‘জৈন্তাপুরে শাকসবজি চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। শাকসব্জি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

[hupso]

সর্বশেষ

আর্কাইভ

March 2018
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031