কানাইঘাটের অগ্নিদগ্ধ সাবানাকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন || উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন

কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ  সিলেটের কানাইঘাটে গত ১২ জুলাই (শনিবার) স্বামী কর্তৃক অন্তঃসত্তা স্ত্রীকে পেট্রোল ছিটিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ সাবানা বেগম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাবানা বেগমকে বাঁচাতে হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। অগ্নিদগ্ধ সাবানা বেগমের জীবন বাঁচাতে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য হতদরিদ্র পরিবার সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালী, প্রবাসী সহ সকলের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন। মুখমন্ডল সহ শরীরের ৬০ পুড়ে যাওয়ায় সাবানা বেগমকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিট বিভাগে নেয়া হয়েছে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা দু’দফা বোর্ড গঠন করে অগ্নিদগ্ধ সাবানা বেগমকে চিকিৎসা করেন, কিন্তু তার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তার জীবন বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন।
সাবানা বেগমের ভাই সুমেল আহমদ সহ পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তাদের কোন টাকা পয়সা নেই। স্বামীর হাতে বোন অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর অনেকে তাদেরকে আর্থিক ভাবে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেছিলেন। বর্তমানে সাবানাকে বাঁচাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হলেও, তার চিকিৎসার জন্য কয়েক লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের কাছে চিকিৎসার করানোর মতো কোন টাকা নেই, এমতাবস্থায় সমাজের বিত্তশালী, প্রবাসী সহ সবাই তার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করলে সাবানাকে বাঁচানো সম্ভব হবে। সাবানার বেগমের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করতে তার ভাই সুমেল আহমদের (বিকাশ) ০১৭৮৫-৮৩৪৮৩৪ টাকা পাঠাতে পারবেন।
উল্লেখ্য যে, কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কান্দলা গ্রামের দিনমজুর আব্দুল জব্বারের মেয়ে সাবানা বেগমকে বছর খানেক পূর্বে একই গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত খাইরুল আলম চৌধুরীর ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হোসেন আহমদ চৌধুরী আক্তারের নিকট বিয়ে দেয়া হয়। ১০ মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী সাবানা বেগমের পিত্রালয়ে গিয়ে গত ১২ জুলাই স্বামী আক্তার পেট্রোল ছিটিয়ে স্ত্রীকে হত্যার জন্য আগুন ধরিয়ে দেয়। আশংকাজনক অবস্থায় সাবানা বেগমকে সাথে সাথে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন তার একটি মৃত কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।