জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে রাজগঞ্জ ইউপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর
চেম্বার প্রতিবেদক: সিলেট আদালতে হত্যা মামলায় জামিন নিতে গেলে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কানাইঘাট রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জামিন নিতে গেলে আদালতের বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। লুৎফর কানাইঘাট রাজাগঞ্জের জামায়াত নেতা হাফিজ শিহাব উদ্দিন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নং আসামি।
এ মামলায় ইতিমধ্যে জেল হাজতে রয়েছেন শিব্বির আহমদ, কামাল আহমদ, সেলিম আহমদ,নাহিদ আহমদ ও আতাউল ইসলাম। গ্রেফতারকৃত এ মামলার প্রধান আসামী শিব্বির আহমদ ইতিমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য, কানাইঘাটে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করার কারণে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হাফিজ শিহাব উদ্দিনকে (৪২) গত ২৭ মে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২৮মে কানাইঘাট থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী হেপী বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন হইতে আসামিগণ এলাকায় চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। স্থানীয় লোকজন তাহাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। শিহাব উদ্দিন প্রায়ই বিবাদীগনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। আর এ প্রতিবাদই কাল হয়ে দাঁড়ায় শিহাব উদ্দিনের। আসামিরা তাকে বিভিন্ন সময়ে খুন করার হুমকি প্রদান করে।
এছাড়া শিহাব উদ্দিন বিভিন্ন প্রকার ব্যবসার সহিত জড়িত। গত ২৭ মে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলাধীন আশুগঞ্জ থানা এলাকা হইতে রাত অনুমান ৮.০০ ঘটিকার সময় ব্যবসার জন্য ট্রান্সপোর্ট যোগে (এগারো হাজার) ইট স্থানীয় খালপার সমিল সংলগ্ন স্থানে নিয়া আসেন শিহাব উদ্দিন। ঘটনাস্থলে বোঝাই ভর্তি ট্রাক হইতে ইট খালাস করার জন্য শিহাব শ্রমিক খোঁজাখুঁজি করিয়া রাত অনুমান ৯.৩০ ঘটিকার সময় ৩/৪জন শ্রমিক নিয়া আসেন। রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত আসামিগণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫জন নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে ছুরা, রাম দা, লোহার পাইপ, ইত্যাদি সহকারে শিহাব উদ্দিন কে পূর্ব আক্রোশে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত ভাবে আক্রমন করে।
আসামিদের উপর্যুপুরি ছুরার আঘাতে রক্তাক্ত জখম হন শিহাব।
এ সময় শিহাব উদ্দিন আত্মরক্ষার জন্য শোর চিৎকার করিলে তাহার শোর চিৎকার শুনিয়া আশপাশ হইতে লোকজন এগিয়ে আসিলে আসামিগণ পালিয়ে যায়।
পরে আত্মীয় স্বজনও স্থানীয় জনগণ শিহাব উদ্দিন কে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন।