কানাইঘাট থানা পুলিশের অভিযানে ভারতীয় চা-পাতার বড় চালান জব্দ, আটক ৩

কানাইঘাট প্রতিনিধি ঃ সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশের অভিযানে ৬৯ বস্তা ভারতীয় চা-পাতা আটক করা হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার একদল পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের মীরমাটি গ্রামের প্রবাসী শরিফ উদ্দিনের বসতবাড়ির পাকা ঘরের দু’টি কক্ষে অভিযান চালায়। অভিযানকালে বসত ঘর থেকে ৬৯ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চা-পাতা সহ জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু বেলুপাড়া গ্রামের মৃত ইসাক আলীর পুত্র আলমগীর হোসেন (৩৬), একই গ্রামের মকবুল আলীর পুত্র মুখলেছুর রহমান (২১) ও আব্দুল্লাহ’র পুত্র আব্দুল মন্নান (২০) নামে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত ৩ জন সহ জব্দ চা-পাতা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জানাগেছে প্রবাসী শরিফ উদ্দিনের বসত বাড়ির দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে চোরাকারবারীরা চোরাই মজুদ করে আসছিল।
থানার ওসি আব্দুল আউয়াল ভারতীয় চা-পাতা আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, চোরাচালানের বিরুদ্ধে পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় অনেকে জানান, জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারের চোরাকারবারীদের আস্তানা সেনাবাহিনী গুড়িয়ে দেয়ার পর সে এলাকার অনেক চোরাকারবারী কানাইঘাট-গাছবাড়ী-হরিপুর সড়ক ব্যবহার করে কানাইঘাটের ঝিঙ্গাবাড়ী, রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের হাট-বাজারে কিছু দোকান-ঘর ও বসত বাড়ির ঘর ভাড়া নিয়ে ভারতীয় চিনি ও চা-পাতা সহ অন্যান্য চোরাই পণ্য মজুদ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিলো। হরিপুরের চোরাকারবারীদের সাথে ঐ এলাকার আরো বেশ কিছু চোরাকারবারী সংঘবদ্ধ হয়ে চোরাচালান ব্যবসা জমজমাট ভাবে চালিয়ে আসছে।
তারা আরো জানান, মীরমাটি গ্রামের শরিফ উদ্দিন প্রবাসে থাকেন, বাড়িতেও কেউ থাকে না, তার বাড়ির দু’টি কক্ষ ভাড়া নিয়ে কয়েক মাস থেকে ভারতীয় চোরাই পণ্য মজুদ করে চোরাকারবারীরা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এলাকার সচেতন মহল চোরাচালান কর্মকান্ডে বাঁধা দেয়ায় চোরাকারবারীরা কয়েকজনকে প্রাণ নাশের হুমকিও প্রদান করে। থানা পুলিশের অভিযানে চা-পাতার চালান আটক হওয়ায় স্থানীয় লোকজন সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং চোরাচালান ব্যবসার সাথে জড়িত চোরাকারবারীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবী জানান।