সিলেট থেকে সরাসরি হজ্জ ফ্লাইট শুরু হতে যাচ্ছে ১৪ মে
চেম্বার ডেস্ক: আজ সোমবার বিকেলে হজ্ব এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), সিলেট অঞ্চলের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেট থেকে সরাসরি হজ্জ ফ্লাইটের সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়।
সিলেট হাব অফিসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৪ মে ৪১৮ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম ফ্লাইট মদীনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবারের সকল হজযাত্রীদেরকে হজ্জ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), সিলেট অঞ্চলের পক্ষ থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
এবার সিলেট থেকে মোট পাঁচটি সরাসরি হজ্জ ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এ বছর সিলেটের মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৭৫ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ফ্লাইটে সিলেট থেকে সরাসরি ২ হাজার ৯০ জন যাত্রী হজে যাবেন, আর বাকি ৫৮৫ জন যাত্রী ঢাকা এয়ারপোর্ট হয়ে যাবেন। ‘রোড টু মক্কা’ কর্মসূচির আওতায় ঢাকায় দুই দেশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হলেও, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে গমনকারী যাত্রীদের সৌদি আরবের আগমনী ইমিগ্রেশন সৌদি আরবেই অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিনের ফ্লাইট ছাড়া বাকি ফ্লাইটগুলো সিলেট-জেদ্দা রুটে পরিচালিত হবে। পরবর্তী ফ্লাইটগুলোর শিডিউল হলো ২৩, ২৫, ২৬ ও ২৯ মে।
এবারের হজ কোটা ব্যবস্থাপনায় এজেন্সি প্রতি এক হাজার হজযাত্রী কোটা বেঁধে দেওয়ায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও তা সমাধান করা হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এজেন্সির সংখ্যা ৩০টি হলেও, এবছর ২১টি এজেন্সি সক্রিয় ছিল। এসব এজেন্সির মাধ্যমে সিলেটের হজযাত্রীদের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
এবার সিলেটের যেসব এজেন্সি হজ্জ যাত্রী রেজিস্ট্রেশন করেছেন, সেগুলো হলো: আকাবা ট্রেডিং কর্পোরেশন (৭৮ জন), আল মনসুর এয়ার সার্ভিস (১০২ জন), যাত্রীক ট্রাভেলস (৭ জন), সিপার এয়ার সার্ভিস (১০০ জন), সিটি ওভারসীজ (১৫৯ জন), এলাইট ট্রাভেলস (২৩৫ জন), আলফা ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল (৩১ জন), লতিফ ট্রাভেলস প্রাঃ লিঃ (৫৪৫ জন), শিপলু ওভারসীজ (২১ জন), খাজা এয়ার লাইনার (১৬৭ জন), ট্রাভেলন এয়ার সার্ভিসেস (১০৭ জন), আল ইহসান ট্রাভেলস (১৫৬ জন), আবাবিল এয়ার সার্ভিস (৫০ জন), আল শরীফাইন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (১৩৯ জন), ডিসকভারী সিলেট ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (৯ জন), ইব্রা ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (১৭৫ জন), সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস (২১৫ জন), তাশফিক ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (৪৬ জন), নিবরাস ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস (৭৭ জন), রাব্বানী ওভারসীজ এভিয়েশন (১৭০ জন) এবং সানশাইন ট্রাভেলস (৮৬ জন)।
আগে একটি এজেন্সি সর্বোচ্চ ৩০০ এবং সর্বনিম্ন ১০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারত। এবার কোটা এক হাজার জন করা হয়েছে এবং আগামী বছর এটি দুই হাজার করা হতে পারে। এ নিয়ে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও তা সমাধানযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাব, সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হক লিখিত বক্তব্য রাখেন। সেক্রেটারি মু. আব্দুল কাদির এর পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন হাব, সিলেট জোনের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার সিপার আহমদ, মোতাহার হোসেন বাবুল, আতাউর রহমান, জহিরুল কবির চৌধুরী শিরু, হাবের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য খন্দকার ইসরার আহমদ রকি, নাজিব বিন মনসুর, সিলেট জোনের সদস্য মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে হজযাত্রীদের নিরাপদ ও সফল হজ্জ পালনের জন্য দোয়া করা হয়।