কানাইঘাটে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মামুন আহমদের মৃত্যু

কানাইঘাট প্রতিনিধি:
কানাইঘাট রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের দাওয়াধারী গ্রামে প্রতিপক্ষের নিমর্ম হামলায় গুরুতর আহত মামুন আহমদ (১৮), এক মাস পর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  বুধবার ভোর ৫টায় মৃত্যু বরন করেছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর দাওয়াধারী গ্রামের মৃত আবু বক্করের পুত্র মামুন আহমদ তার মহিষ চরিয়ে বাড়ীতে বিকেলের দিকে ফিরছিল। এ সময় একই গ্রামের মলিক মিয়ার পুত্র মুমিন আহমদ ও তার ভাই রামিম আহমদ, তাদের পিতা মলিক মিয়া সহ তাদের কয়েকজন স্বজন গ্রামের গোপাটে পানি সেচের মেশিন লাগিয়ে শুকিয়ে মাছ ধরার সময় মহিষের মালিক মামুন আহমদ মেশিনের শব্দে তাহার মহিষ দৌড়াদৌড়ি করছে মেশিন বন্ধ করার জন্য তাদের বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মলিক মিয়া ও তার ছেলে স্বজনরা মামুন আহমদ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দেখিয়ে ছাড়বে বলে হুমকি দেন। একপর্যায়ে ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মলিক ও তার দুই ছেলে সহ ৮/১০ জন আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে দেশীয় ধারালো কোদাল, লোহার রড, লোহার শাবল, অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মামুন আহমদের বাড়ীতে গিয়ে তার উপর হামলা চালায়। নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মামুন আহমদের মাথায় একাধিক রক্তাক্ত জখম সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নিমর্ম ভাবে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করলে তাকে সাথে সাথে সিওমেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। স্বজনরা সেখানে ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হলে মামুন আহমদকে বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। আবারো তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় গত ১০ অক্টোবর তাকে সিওমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুন আহমদ গতকাল বুধবার ভোরে মারা যায়। এঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। পুলিশ এঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।