সর্বশেষ

» কানাইঘাটে ভ্যান ভর্তি সরকারি বই উদ্ধার, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ০৬. জানুয়ারি. ২০২৩ | শুক্রবার

কানাইঘাট প্রতিনিধি:: কানাইঘাটে ২০২২ সালের সপ্তম ও নবম শ্রেণির বেশ কিছু বই এক ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীর কর্মচারীর কাছ থেকে ভ্যানগাড়ীসহ আটক নিয়ে গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে তুলকালাম কান্ড ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি জনতার হাতে বই আটকের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গোপাল চন্দ্র সূত্রধর, থানার এস.আই পিযুষ চন্দ্র সিংহকে নিয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন।

কমিটির সদস্যদের দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি।

জানা যায়, গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের পাশ থেকে একটি ভ্যানগাড়ী দিয়ে কয়েক শত বই পৌর শহরের হাফিজ ভাঙাড়ি ব্যাবসায়ীর এক কর্মচারীকে স্থানীয় বেশ কিছু জনতা ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আটক করেন। ২০২২ সালের সপ্তম ও নবম শ্রেণির বই আটকের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে জানানোর পর দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম। একপর্যায়ে কোথা থেকে এসব বই কিনে এনেছে জানতে চাইলে ভাঙাড়ি জানায় সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এসব বই কেজি ধরে কিনেছে।

বই ভ্যান গাড়ীতে তুলে দেন এবং বিক্রি করেন লিটন দাস নামে এক যুবক। বই আটকের সংবাদ পেয়ে উপজেলা শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে আসেন। তারা বই বিক্রির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।

রাত ১টার দিকে আটককৃত বই ও ভ্যানগাড়ী থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয় নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির নির্দেশে। তিনি তাৎক্ষণিক বই আটকের বিষয়টি থানা পুলিশকে তদন্ত করে দেখার জন্য নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের পুরাতন আটককৃত এসব বই ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী কার কাছ থেকে কিনেছে এবং বইগুলো কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে তা কঠোরভাবে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। ২০২৩ সালের নতুন বই আটক হয়নি, প্রত্যেকটি স্কুল ও মাদ্রাসায় নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি যেখানে আমাদের পাঠ্য বইগুলো রাখা হয় সেখান থেকে বই অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কোন সুযোগ নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির বলেন, ২০২৩ সালের নতুন কোন পাঠ্যবই বিক্রি হয়নি। একজন ভাঙাড়ি ২০২২ সালের পুরাতন কিছু বই কার কাছ থেকে কিনেছে এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

[hupso]

সর্বশেষ