সর্বশেষ

» নাটোরে প্রেম করে ২২ বছরের ছাত্রকে বিয়ে করলেন চল্লিশের শিক্ষিকা

প্রকাশিত: ৩১. জুলাই. ২০২২ | রবিবার

চেম্বার ডেস্ক:: 

নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রেম করে খাইরুন নাহার (৪০) নামে এক কলেজ শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছেন মো. মামুন হোসেন (২২) নামে এক কলেজছাত্র। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে।

গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাস পর সম্প্রতি ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে সমালোচনা শুরু হয়।

শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো.খয়ের উদ্দিনের মেয়ে ও এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন হোসেন ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। এরপর ছয় মাসে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে দুজন বিয়ের সিন্ধান্ত নেন। পরে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ছয় মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে এখনো বিয়ে মেনে নেয়া হয়নি।

বর্তমানে নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাসায় দুজন বসবাস করছেন। এর আগে ওই শিক্ষিকা প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলারয়। পারিবারিক কলহে সংসার বেশি দিন টেকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে একজন সন্তানও রয়েছে।

মোছা. খাইরুন নাহার বলেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। সে সময় ফেসবুকে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর আমাদের দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে ভালবাসা হয়। তারপর দুজনের সিদ্ধান্তে বিয়ে করি। সমাজে কে, কী বলে তা বড় বিষয় না। মামুনের বাড়ি থেকে আমাদের বিয়ে মেনে নিয়েছে। আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি আমাকে অনেক ভালোবাসেন। আমি অনেক সুখে আছি।

মে. মামুন হোসেন বলেন, আমাদের দুজনের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর আমাদের মধ্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। ছয় মাস আগে কাউকে না জানিয়ে আমরা বিয়ে করি। আমার বাবা-মা মেনে নিয়েছে।

[hupso]

সর্বশেষ