সর্বশেষ

» তশ্না সংগীত ও সংগ্রামী তশ্না || আবদুল হামিদ মানিক

প্রকাশিত: ০৪. সেপ্টেম্বর. ২০২১ | শনিবার

আবদুল হামিদ মানিক:
  • সুফি সাধনা ও মরমি সংগীতে সিলেটের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সব মহলে স্বীকৃত। সংগীত সম্পর্কে কথা বললে হাসন রাজা, রাধারমণ, তশ্না, শীতালং প্রমুখের নাম উচ্চারিত হয়। কিন্তু তশ্নার সংগীত এ যুগে ব্যাপক পরিসরে পরিচিত নয়।
এখন যুগ হচ্ছে রেডিও, টিভির। সংগীত পঠন পাঠনের বিষয় নয়। গীতও শ্রুত হওয়ার উপর নির্ভর করে এর প্রচার প্রসার ও জনপ্রিয়তা। প্রচার মাধ্যম অতীতে আজকের মতো ছিল না। তখন অবসরে বিশেষ করে রাতে জমতো সংগীতের আসর। জড়ো হয়ে গান শুনে মানুষ মেটাতো আত্মার চাহিদা। সেই সময় তশ্নার সংগীতে অসংখ্য মানুষের চিত্ত সিক্ত, শুদ্ধ হয়েছে। আত্ম-উপলব্ধি ও আধ্যাত্মিক প্রেরণায় শ্রোতারা শাণিত প্রাণিত ও আলোড়িত হয়েছেন। এখন রেডিও টিভি সেই ‘নৈশ সংগীত’ আসরের স্থান দখল করে নিয়েছে। সার্থক সংগীত রচয়িতা ইবরাহীম তশ্না এই বাস্তবতায় অনেকের জানা শোনার বাইরে পড়ে গেছেন। লোক সংগীত, মরমি ও সুফি ভাবধারায় রচিত সংগীত ঐতিহ্য সম্পর্কে ওয়াকেফহাল মহলে তশ্নার সমাদর আছে। এসব সংগীতে আছে আমাদের সাংস্কৃতিক বিকাশের ইতিহাস। আছে আত্মার চিরন্তন খাদ্যের সম্ভার। তাই তশ্নাকে অনুসন্ধান ও অনুধাবনের চেষ্টাও আছে। মানবকল্যাণমুখি সৃজনশীল মানসম্পন্ন কোন সৃষ্টিই হারিয়ে যায় না। যায় নি তশ্নার সংগীত।
তশ্না আজীবন দুনিয়া বিমুখ সংগীত সাধক নন। সুফি পীর সাধক বললেই মনে হয় যেন চারপাশের জীবন ও জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন ধ্যানমগ্ন একজন মানুষ। আল্লামা ইবরাহীম তশ্না ছিলেন ব্যতিক্রম। সমাজ সংস্কারক, শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগী, রাজনৈতিক সংগ্রাম আন্দোলনের ময়দানে অগ্রসৈনিক, বাগ্মী এবং কবি। একাডেমিক বা বিদ্যায়তনিক ডিগ্রি সনদ অর্জন করেছেন। শিক্ষকতাও করেছেন। একাধিক ভাষায় ছিলেন দক্ষ। মেধাবী; সমাজ সচেতন দেশপ্রেমিক তশ্নার পরিচয় তাই শুধু সংগীতে নয়, ব্যাপ্ত হয়ে আছে ব্রিটিশ আমলের রাজনৈতিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের পাতায়। জৈন্তা এলাকা অথবা শুধু সিলেট অঞ্চলে নয় তৎকালীন উপমহাদেশীয় পটভূমিতে তশ্নার বিচরণ ও পরিচিতি ছিল। প্রজ্ঞাবান, মেধাবী, সুবক্তা, দূরদর্শী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সৈনিক হিসেবে উপমহাদেশের মুসলিম নেতৃবৃন্দের সহচর ছিলেন তশ্না। সিলেট অঞ্চলের যেসব আলিম উলামা ও মেধাবী সন্তান দিল্লি দেওবন্দসহ উপমহাদেশীয় পরিসরে সম্মান ও স্বীকৃতি পেয়েছেন- তশ্না তাঁদের একজন। মনে রাখতে হবে যে, ঐ সময় রাজনীতিতে আলেমদের অবস্থান ছিল সামনের কাতারে। ‘দেশ ও জাতির জন্য শাহাদত বরণ করা আমার প্রিয়’ বলেছিলেন তশ্না। তাই উদাসী বা মরমি কবি পরিচিতির আগে তাঁর যে ভূমিকা ছিল তা কোনোক্রমেই বিস্মৃত হওয়া যায় না। ইবরাহীম তশ্নার জীবনকাল ১৮৭২-১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দ। তখনকার শিক্ষা, রাজনীতি ও রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতিতে তশ্না ছিলেন প্রখর চেতনা, দূরদর্শী ও আধুনিক চিন্তাধারায় উজ্জ্বল এক নক্ষত্র। তাঁর আধুনিক মন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায় কাজ ও কথায়। সেই সময়ে ইংরেজি শিক্ষার প্রতি মুসলমানদের অনীহা ছিল। আলেমদের অনেকে মনে করতেন, ইংরেজি শিখলে বা পড়লে মুসলমানেরা সাংস্কৃতিক দিক থেকেও ইংরেজদের বশীভূত অনুগত হয়ে পড়বে। এই মতামত একেবারে অন্তঃসারশূন্য বলা যাবে না। তবু ইতিহাস পর্যালোচনায় বলা যায় প্রথমদিকে ইংরেজি চর্চা থেকে বিরত থাকায় মুসলিম সমাজ লাভবান হয় নি। সেই সময়ে ঐতিহাসিক লক্ষেèৗ সম্মেলনে সাহসী তশ্না বলেছিলেন, ইংরেজি একটি ভাষা। ইংরেজের সাথে আমাদের আদর্শিক ভিন্নতা আছে বলেই ইংরেজি শিখা অপরাধ নয়। তাদের আচরণ অনুসরণ করা অপরাধ। তবে শেষদিকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাব দেখে তিনি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
ধর্মীয় আচার আচরণ, মাসলা মাসায়েল ইত্যাদির জন্য আলেম সমাজ সাধারণ মানুষের রাহবর। এ ব্যাপারে মানুষ আলেম সমাজের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ছোটখাটো অনেক বিষয়ে আলেম সমাজে মতভিন্নতা প্রবল। নীতিগতভাবে বলা হয়, ইখতিলাফুল উলামায়ে রাহ্মাতুন- অর্থাৎ বিজ্ঞ বিদ্বান লোকের মধ্যে ইখতিলাফ সাধারণ মানুষের জন্য রহমত বা আশীর্বাদ। কিন্তু এ দেশে গৌণ বিষয় নিয়ে ইখতিলাফ মাথা ফাটাফাটির কারণ হয়ে আছে। শিক্ষার প্রসার বিশেষ করে বাংলা ইংরেজিতেও ইসলামের বিধিবিধান এখন সুলভ। এর পরও সেই বারিকী মাসলা মাসায়েল নিয়ে বিতর্ক বহসের শেষ নেই। ধর্মানুরাগী সুধীজনের কাছে এ যুগেও পীড়াদায়ক এ বিষয়ে আল্লামা ইবরাহীম তশ্নার জীবনে একটি মজার ঘটনা আছে। জকিগঞ্জ এলাকায় এক মিলাদ মাহফিলে একবার তশ্না শরিক হয়েছেন। কিয়ামের পক্ষের লোকজন যথা সময়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। বিপক্ষের লোকজন বসে থাকলেন। এই দ্বিধাবিভক্তির মুখে তশ্না শুয়ে পড়লেন। তাঁর এ আচরণে কৌতূহলী হয়ে সবাই জানতে চাইলেন, তিনি কেন শুয়ে আছেন। তাঁর উত্তর: ইবাদত শুয়ে বসে দাঁড়িয়ে করা যায়। আমি তাই শুয়ে পড়লাম। এ রকম অনেক ঘটনায় তাঁর আধুনিক মন মানস এবং উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়।
রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর বিচরণ ঐ সময়ের বিবেচনায় ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উপমহাদেশীয় সর্বভারতীয় নেতৃবৃন্দের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের উত্তাপ ও মেজাজ পুরোপুরি নিজের চেতনায় ধারণ করেছিলেন। ছিলেন সুবক্তা। দিল্লি জুমা মসজিদে রাজনৈতিক বক্তব্য দানকারী একমাত্র সিলেটিও তিনি। খেলাফত আন্দোলনে রাখায় তাকে কারাবরণ করতে হয়। মাওলানা তশ্না শিক্ষা বিস্তারেও অবদান রেখেছেন। উমরগঞ্জ ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসার (১৮৯৮) প্রতিষ্ঠা ছাড়াও তিনি। সড়কের বাজার আহমদিয়া মাদ্রাসা ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে তিনি ছিলেন সচেষ্ট। সড়কের বাজার আহমদিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্টাকালে তারই প্রস্তাবে মহানবীর অপর নাম ‘আহমদ’ অনুসারে আহমদিয়া মাদ্রাসা নামকরণ করা হয়।
সেই সময় পত্রপত্রিকা এবং রেডিও টিভি ছিল না। কলকাতা বেতার কেন্দ্র ১৯২৭ এবং ঢাকা কেন্দ্র চালু হয় ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে। রেডিও ছিল প্রায় অচেনা যন্ত্র। শিক্ষার হার ছিল নগণ্য। তাই সভাসমাবেশ এবং জনসংযোগই ছিল জনগণকে সজাগ সচেতন করবার প্রধান মাধ্যম। সুবক্তা, দেশ দুনিয়া সম্পর্কে ওয়াকেফ হাল মাওলানা ইবরাহীম তশ্না সেই সময়ে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির পক্ষে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। একই সঙ্গে আত্মিক ও নৈতিক উন্নতির পক্ষে মানুষকে প্রাণিত করেছেন।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত মাওলানা ইবরাহীম তশ্নার খ্যাতি পরিচিতি ছিল। তাঁর ভক্ত অনুরাগী ছিলেন অনেক। তৎকালীন উপমহাদেশীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও সংযোগ ছিল। এমন এক ব্যক্তিত্বের আকস্মিক ভাবান্তর নিশ্চয়ই ঐ সময় অনেককে বিস্মিত করেছিল। কেন কীভাবে তাঁর এ ভাবান্তর? কেন তিনি হঠাৎ করে এমন বদলে গেলেন? এর স্পষ্ট উত্তর কারো পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। ‘ভাবুক বিনে ভাবের মর্ম অন্য কেউ আর বুঝবে না।’ প্রেমিক রুমীর ভাষায়: ‘সিনা খাহাম শারাহ শারাহ আজ ফারাক/ তা বগুইয়ম শরাহ দরদে ইশতিয়াক।’ অর্থাৎ ‘বক্ষ চাই এমন যা বিচ্ছেদে ফেটে ফালি ফালি/ যাতে প্রেমের কী বেদনা তা শোনাতে পারি।’ আসলে আধ্যাত্মিকতার পথ ও পথিকদের লৌকিক বা বৈজ্ঞানিক সূত্রে ব্যাখ্যা করা যায় না। তশ্না বলেছেন:
উঠিল আগুন্নি জ্বলি রইতে কিছু দূর
বাড়ি হইতে রাজপন্থে আসতে শাহপুর।
রাজপন্থে আসিয়া মিলিলা মহারাজ
প্রেমের বাঁশির সুরে করিলা আওয়াজ।
ফুলের উপর দেখি রূপ দয়ালের লীলা
প্রেমবাগানে গিয়া তশ্না উদাসী হইলা।
এর সঙ্গে একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন কেউ কেউ। কিন্তু হঠাৎ ভাবান্তরের সন্তোষজনক উত্তরে তাও যথেষ্ট নয়। শেখ সাদির কথায়: বারগে দরখতানে সবুজ দর নজরে হুঁশিয়ার/ হর ওরকে দফতর আস্ত মারিফাতে কিরদেগার- সবুজ বৃক্ষ রাজির পত্র পল্লবে সতর্ক দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে প্রতিটি পাতাই সৃষ্টিকর্তার দফতর মনে হবে। তশ্নার জীবনে তাই এমনি বিরল এক মুহূর্তে ঘটে গেল বিরাট পরিবর্তন। খেলাফত আন্দোলনের সৈনিক, সুবক্তা, শিক্ষানুরাগী, সমাজকর্মী তশ্না হয়ে গেলেন উদাসী তশ্না। আবার মরমি সম্রাট রুমীর ভাষায় বলা যায়: জিসমে খাক আজ ইশক বর আফলাক শুদ/ কুহ দর রক্স আমদ ও চালাক শুদ- প্রেমের কারণে মাটির দেহ ঊর্ধ্বাকাশে পাড়ি দিল, পর্বত প্রাণচঞ্চল হয়ে নাচতে শুরু করলো।
তাঁর জীবনের শেষ কয়েক বছরের ফসল হচ্ছে ‘নুরের ঝংকার’ ও ‘অগ্নিকুন্ড’। প্রচলিত পরিভাষায় এগুলোকে ‘বাউল’ বললেও আসলে বিশুদ্ধ অর্থে বাউল থেকে এগুলো আলাদা। বাউলের আলাদা ধর্ম ও ঘরানা আছে। স্রষ্টার জন্য ব্যাকুল অর্থে সাধারণভাবে বাউল বলা হলেও এগুলো বাউল নয়। হাসন, শীতালং, তশ্নাসহ সুফি সাধকদের রচনা মরমি সংগীত হিসেবে এ যুগে অভিহিত। সুফি সাধনার অনুষঙ্গ হিসেবে রচিত এসব গানের মূলতত্ত্ব ও প্রাণ হচ্ছে আল্লাহ প্রেম। রুমীর মসনবী কাব্য হিসেবে চিহ্নিত। এভাবে সুফি সাধকদের রচনাকে সুফিভাবধারায় রচিত কাব্য হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়। তশ্না, শীতালং প্রমুখ ছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত। ছিলেন শরিয়ত অনুগত। তশ্নার সংগীতে এর পরিচয় পাওয়া যায়। অতীতে এগুলোকে সাধারণ গান বা বাউলের মতো বিনোদন হিসেবে গাওয়া হতো না। গায়ক যেমন পবিত্র অন্তরে গাইতেন শ্রোতারাও তেমনি আধ্যাত্মিক ভাবগাম্ভীর্যে শুনতেন।
তশ্না সংগীত আমাদের লোক সাহিত্য, লোক সংগীত অথবা মরমি সাহিত্যের মূল্যবান সম্পদ। তাঁর সমকালে এ ধারায় সিলেটে যারা অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে হাসন রাজা (১৮৫৪-১৯২২), আরকুম শাহ (১৮৭৭-    ), শীতালং (১৮০০-১৮৮৯) প্রমুখের নাম উল্লেখ করা যায়। এঁদের প্রত্যেকের ভাব এক কিন্তু সুর, বাণী, ভাষায় প্রত্যেকের স্বাতন্ত্র্য রয়েছে। উদাহরণ নেওয়া যেতে পারে। প্রেম বিরহ অর্থাৎ আল্লাহ প্রেম এবং আল্লাহতে বিলীন হওয়ার প্রবল তৃষ্ণা সকলের সমান। কিন্তু প্রকাশ ভিন্ন। যেমন- পরম সত্তার সঙ্গে মিলনের ব্যাকুলতা এবং বিচ্ছেদের যন্ত্রণা:
(ক) আগুন লাগাইয়া দিল কোনে হাসন রাজার মনে
নিভেনা দারুণ আগুন জ্বলে দিলে জানে
ধাক ধাক করিয়া উঠিল আগুন
ধৈল আমার প্রাণে……। -হাসন
(খ) শীতালংগে বলে অঙ্গে
তুষানল জ্বলিতেছে
প্রিয় বিনে না লয় মনে
মন উদাস হইয়াছে। -শীতালং(গ) বারে বারে উঠে দিলে আগুন্নির জ্বালা গো
কোথায় মধুমালা
প্রেমের সায়রে উঠে আগুন্নির ঢেউ
পানিতে আগুন্নি জ্বলে মহব্বতের লীলা। -তশ্না
এভাবেই এসব সংগীত আমাদের  মরমি বা আধ্যাত্মিক সংগীঁত ভা-ারকে বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধি দান করেছে। তাঁরা চৈতন্যের বিশেষ একটি স্তরে অবস্থান করে রচনা করেছেন এসব গান। সময় বিশেষ শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করলে খটকা লাগতে পারে। কিন্তু তাই বলে এগুলোকে নাকচ করেও দেওয়া যায় না। এজন্য যে এগুলো আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনাকে পরিপুষ্ট ও প্রভাবিত করেছে। বাইবেলের বাণী: গধহ পধহ হড়ঃ ষরাব নু নৎবধফ ধষড়হব. মানুষ পেটসর্বস্ব জীব নয়। তাঁর আত্মা আছে, আছে আত্মিক, আধ্যাত্মিক চাহিদা। তাই কট্টর বস্তুবাদী লোকও এসব গানে আলোড়িত হয়। শিকড় বিমুখ বা শিকড় পরিপন্থী কথামালায় আত্মিক চাহিদা পূরণের পরিবর্তে এ দেশের মাটি মানুষ ও কল্যাণকর মূল্যবোধের অনুকূল- তশ্না সংগীঁত হতে পারে আমাদের আত্মিক উৎকর্ষ লাভের নির্দোষ অবলম্বন।

লেখক: আবদুল হামিদ মানিক: গবেষক ও নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক সিলেটের ডাক, সিলেট।
[hupso]

সর্বশেষ