সর্বশেষ

» ইফজাল হত্যা মামলা তদন্ত রিপোর্ট দাখিল: আসামী ১১

প্রকাশিত: ১৮. এপ্রিল. ২০২১ | রবিবার

কানাইঘাট প্রতিনিধি : সিলেটের কানাইঘাটে বহুল আলোচিত ডাকাতদের হাতে নিহত ইফজালুর রহমান (৩৩) হত্যা মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মামলায় ১১ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে রিপোর্ট দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালত রিপোর্ট আমলে নিয়েছেন। এদিকে তদন্ত রিপোর্টে আসামীদের নাম দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার দিকে কানাইঘাট উপজেলার ছোটদেশ আগফৌদ গ্রামের আব্দুল জলিলের বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১০/ ১২ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল আব্দুল জলিল ও তার পরিবারের লোকদের অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটে নেয়। কিন্তু আব্দুল জলিলের ছেলে ইফজালুর রহমান (৩৩) সাহস করে ডাকাতদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে ডাকাতরা তার উপর গুলী চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
এদিকে ঘটনার পরদিন আব্দুল জলিল নিজে বাদী হয়ে ইফজাল হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু থানা পুলিশ শুরু থেকেই মামলার তদন্ত নিয়ে গড়িমসি করলে বাদীপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে প্রদান করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই আজ রোববার ১১ জনের নাম উল্লেখ করে জেলা দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। আদালত অভিযোগ পত্র আমলে নিয়ে পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।
মামলায় উল্লেখিত আসামীরা হলেন- ১। কানাইঘাট উপজেলার গণিকান্দি গ্রামের মৃত আসকির আলীর পুত্র আব্দুস সাত্তার (৪০), ২। একই উপজেলার নারাইনপুর গ্রামের মৃত মোতাহির আলীর পুত্র আব্দুল মতিন (২২), ৩। একই উপজেলার নয়াগ্রামের আজির উদ্দিনের পুত্র আব্দুল মালিক (৩৩), ৪। নিজাম উদ্দিনের পুত্র বদরুল (১৮), ৫। শমসের আলীর পুত্র খয়রুল (২৫), ৬। শাহপরান থানার দাসপাড়ার আবুল কালামের পুত্র রশিদ আহমেদ (৪৩), ৭। ইসলামপুরের হেকিম আহমদের পুত্র কয়ছর (২৮) ৮। একই গ্রামের ইকবাল হোসেনের পুত্র জাহাঙ্গীর (৩৫), ৯। শাকিল আহমদের পুত্র আব্দুল মান্নান (২৫), ১০। আব্দুল হান্নানের পুত্র আব্দুল করিম (২৮) ১১। লামা ঝিংগাবাড়ী মিয়াগুল গ্রামের আবু মুসা ইসলামের পুত্র নাজমুল ইসলাম (২৭)।
এদিকে আদালতে পিবিআই এর তদন্ত রিপোর্ট দাখিলকে কেন্দ্র করে কানাইঘাট এলাকাজুড়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নাজমুল সহ ২/৩ জন আসামীকে টাকার বিনিময়ে বিশেষ সুবিধা নিয়ে তদন্ত রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় অনেকেই।
এ বিষয়ে নাজমুলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মা বলেন, ছাত্রলীগ নেতা খয়ের চৌধুরী ও হারুনের যোগসাজশে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এমন ন্যাক্কারজনক ঘৃণ্য ডাকাতি ও হত্যা মামলায় আমার ছেলেকে জড়ানো হয়েছে। তিনি অবিলম্বে এই রিপোর্ট থেকে তার নিরপরাধ ছেলের নাম প্রত্যাহারের জন্য আদালত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর প্রতি জোর দাবী জানান।

[hupso]

সর্বশেষ