সর্বশেষ

» সিলেটে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার বাদী ও ভিকটিম শ্রীঘরে

প্রকাশিত: ২১. জানুয়ারি. ২০২১ | বৃহস্পতিবার

চেম্বার ডেস্ক:: সিলেটে মিথ্যা ও সাজানো ধর্ষণ মামলার এক বাদী ও এক ভিকটিমকে শ্রীঘরে পাঠানো হয়েছে। সিলেটের বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যতন ট্রাইবুনালের বিচারক মঙ্গলবার (২০জানুয়ারি) তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মামলার সূত্রে প্রকাশ- সিলেট নগরীর কলাপাড়ার ফজল মিয়ার কলোনী ভাড়াটে ছিলেন সুনামগঞ্জ তাহির পুরের সোহেল মিয়ার স্ত্রী তানজিনা বেগম। তাদেন কাছে থাকতো তানজিনার বোন সুনিমা ওরফে সুনজিনা (১৯)। এক সময় সুজিনা পরপুরুষ কর্তৃক অন্তঃসত্তা হয়ে গেলে তার গভৃপাত করেন ভগ্নিপতি সোহেল। পরে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে তানজিনা বেগম বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা (নং-৪৯(৪)১৮) করেন। কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলায় মিথ্যাভাবে নগরের ডহর এলাকার হাজী সোহেল আহদকে একমাত্র আসামী করেন। একাধিকবার তদন্ত শেষে মামলাটি বিচারে গেলে সিলেটের বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মুহিতুল হক এনাম চৌধুরী ২০২০ সালের ৭ জুলাই মামলাটি খারিজ করে দেন। পাশাপাশি হাজী সোহেল আহমদকে নির্দোষ বলে অব্যাহতি প্রদান করেন। পরে এই ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত হাজী আহমদ বাদী হয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার বাদী তানজিনা বেগম ও ভিকটিম সুনিমা ওরফে সুনজিনা এবং তাদের প্ররোচনাকারীদের আসামী করে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর একই ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ আইনের ১৭ ও ৩৪ ধারায় পাল্টা একটি মামলা (নং-৩৫৫/২০২০) করেন। পাল্টা এই মামলায় ট্রাইব্যুনাল আগের মিথ্যা ধর্ষণ মামলার বাদী তানজিনা বেগম ও ভিকটিম সুনিমা ওরফে সুনজিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর বাদী তানজিনা ও ভিকটিম সুজিনা সম্প্রতি হাইকোর্টে গিয়ে জামিন চাইলে মহামান্য হাইকোর্ট তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন। নির্দেশ মোতাবেক ধর্ষণ মামলার বাদী তানজিনা ও ভিকটিম সুজিনা মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) সিলেটের বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ট্রাইব্যুনালের সেরেস্তা শাখা ওই মামলায় তাদের কারাগারে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

[hupso]

সর্বশেষ