সর্বশেষ

» জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আলোচনা সভা

প্রকাশিত: ০২. সেপ্টেম্বর. ২০২০ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক:: যথাযোগ্য মর্যাদায় বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন। গতকাল বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা সদরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। এসময় বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক এম এ কয়েসের সভাপতিত্বে, উপজেলা বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী পারভেজের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কলকলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সমসের উদ্দিন, বিএনপি নেতা সৈয়দ জিতু মিয়া, সাবেক মেম্বার আব্দুল ওয়াহাব, জিলু মিয়া, যুবদল নেতা আনছার মিয়া, শামিনুর রহমান, এখলাছুর রহমান নিকসন, রফিক আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুম আহমদ, সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম বাবর, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাহার, যুবদল নেতা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক  রুয়েল আহমদ রাজা, ছাদিক মেম্বার, পৌর যুবদল নেতা শাহিন মিয়া, আলী হোসেন, খয়রুল কামালী, আকবর আলী, ছাত্রদল নেতা রুবেল নুর ও কয়েছ নুর।

আলোচনা সভা শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু, শহীদ জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর মাগফেরাত কামনা এবং দেশ-জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শপথ হোক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঔক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে শতভাগ রাজপথে থাকার অঙ্গিকার। এই লক্ষ্যে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যোগ্য মেধাবী ও রাজপথের ত্যাগী নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি করার কার্যক্রম শুরু করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে অতীতের ন্যায় কোন ব্যক্তির ফরমায়েশি কমিটি না দিয়ে সবার সমন্বয়ে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিটি কমিটিকে ঢেলে সাজানোর জন্য জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে সঠিক ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

জগন্নাথপুরের আভ্যন্তরীণ রাজনীতি প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপি এখন ভারপ্রাপ্ত সংগঠনে রুপ নিয়েছে। ১৯৯৮সালে পার্বত্য চট্রগ্রাম চুক্তি বাতিলের দাবিতে অর্ধদিবস ডাকা হরতালে তৎকালিন যুবদলের সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে আওয়ামী গুন্ডারা এবং চিরাচরিত নিয়ম মতে মামলা হয় যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে। তখন সবাই দেশে থাকলেও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় তৎকালীন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কয়ছর। আজ তার মাধ্যমেই ধ্বংস হচ্ছে জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠন। নিজের ভাইকে সাধারণ সম্পাদ এবং অতিশয় নিরীহ প্রকৃতির লোককে করেছেন সভাপতি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রাজনৈতিক অনবিজ্ঞতার কারনে ব্যর্থ হয়ে চলে যান সভাপতি-সম্পাদক দুজনই নিরাপদ জীবন-যাপনে বিদেশে অবস্থান করছেন। অথচ দোহাই দেওয়া হয় মামলার। বাস্তবে সম্পাদকের কোন মামলা নেই। বরং লন্ডনে এসাইলেম পেতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ভাগ্নে যুবলীগের এক বড় নেতার সাহায্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করিয়ে এখন পরিবার নিয়ে প্রবাসে আছেন। আর সেখান থেকে তারা দুই ভাই মিলে জগন্নাথপুর বিএনপিকে অযোগ্যদের নেতৃত্বে এনে তাদের হুকুমের গোলাম বানিয়ে রাজপথ ছেড়ে ঘর বাড়ি ক্ষেন্দ্রিক রাজনীতিতে পরিণত করেছেন। কিন্তু এই বিএনপি অতীতে সাবেক মেয়র আক্তারুজ্জামান আক্তারের নেতৃত্বে সুসংগঠিত ও রাজপথ কেন্দ্রীক ছিল।

বক্তারা আরো বলেন, এমন এক ব্যক্তিকেই ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি করা হয়েছে পূর্বে তার রাজনৈতিক কোন পরিচয় নেই। সম্পুর্ণ  অভিজ্ঞতাহীন এবং তার বাবা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। যোগ্য এবং আন্দোলন মুখী নেতৃত্বের মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে কমিটি করে দল ও দলের সর্বোচ্চ নেতা তারেক রহমানের দেয়া অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার জন্য জেলা যুবদল, জেলা ছাত্রদল ও সাংগঠনিক টিমের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান তারা। যুক্তরাজ্যের কোন নেতার ফোনে নয় বরং দেশ ও দলের এই ক্লান্তি লগ্নে তৃণমূলের আওয়াজকে গুরুত্ব দিয়ে দলকে শক্তিশালী করার জন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, জেলা যুবদলের সদস্য আতিকুন নূর। সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা মতিউর রহমান মতি, জিলু মিয়া, আনিস উল্লাহ, বিরাম উদ্দিন,ছানা মিয়া, হাবিবুর রহমান, আব্দুল মছব্বির, লেবু মিয়া, আলী হোসেন, শিপু মিয়া, ফয়সল আহমদ, কোহিনুর আহমদ, তোফাজ্জল হোসেন, সেবুল মিয়া, শিপন মিয়া, মোহাম্মদ আফসান, আব্দুল্লাহ, মোছাদ্দিক আহমদ, ওয়াহিদ আহমদ, সোহাগ আহমদ, এনাম হোসেন, রাব্বি ও ইমন রানা প্রমূখ।

[hupso]

সর্বশেষ